২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

পঁচান্ন.
দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনলেন। সজীবের বাবা এসেছে ভেবে তাড়াতাড়ি ধড়ফড় করে উঠে দরজার কাছে গেলেন। সজীব নয়তো? ওর বাবা তো ওভাবে দরজা ধাক্কায় না। সজীবের নাম ধরে জোরে জোরে ডাকতে থাকেন। তিনি দুরুদুরু বুকে দরজা খুললেন।
শাহেদা বেগম ভূত দেখার মতো চমকে উঠলেন। দরজার ওপাশে সজীব দাঁড়িয়ে আছে। স্কুল ড্রেস পরা, কিন্তু স্কুল ব্যাগ নেই। ওকে ঝড়ো কাকের মতো লাগছে। তিনি কি ভুল দেখছেন? সারা রাত ছেলের চিন্তায় তার ভিজুয়াল হ্যালুসিনেশন ঘটেছে?
‘মা’। ছেলের ডাকে শাহেদা বেগমের চমক ভাঙল। তিনি ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমুয় চুমুয় ভরিয়ে দিয়ে কান্না জড়ানো স্বরে বললেন, ‘রাতে কই ছিলে তুই? কোথায় গিয়েছিলি?’
সজীব জানত এই প্রশ্ন উঠবে। সারা রাস্তা সে এর উত্তর ভাবতে ভাবতে এসেছে। আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বলা যাবে না, মা আগেই খোঁজখবর করেছে ভালোভাবেই জানে। রাফি আর নয়নদের বাসায় পড়ার জন্য থাকার কথা বলবে নাকি? মা তো ওদের চেনে না। তারপর স্কুলে গিয়ে ওদের ম্যানেজ করা যাবে।
মা সজীবকে জড়িয়ে ধরে ঘরের ভেতর নিতে নিতে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বললেন, ‘সন্ধ্যের সময় তোর দুই বন্ধু রাফি আর নয়ন এসেছিল। তারাই ক্লাসে তোর না থাকার কথা জানায়। তোর স্কুল ব্যাগ নিয়ে এসেছিল।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল