২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

‘কার ভয়ে? কিসের ভয়ে?’ কথা বলার আনন্দে যেন প্রাণীটির মুখ দিয়ে কথার তুবড়ি বের হতে লাগল।
-

পঁয়ত্রিশ.
খিদেয় সজীবের পেট চোঁ চোঁ করছে। একটুখানি কাচা সবজি মুখে দেয়ায় খিদেটা আরো বেড়ে গিয়েছিল। ভয়ে খিদে কমে গিয়েছিল। এখন ভয় একটু কমে আসাতে খিদেটা বাড়ছে। সে কি বলবে বুঝতে পারল না। কোনো মতে ঘাড় কাত করে বোঝাল তার খিদে পেয়েছে।
প্রাণীটি নিজে কথা বলছে বলেই বোধ হয় সহানুভূতির স্বরে বলল, তুমি কি কথা বলতে পারো না? বোবা? বোবা হওয়া খুব কষ্টের। এই ঘরের মধ্যে বোবা হয়ে বসে থেকে আমার জান বেরিয়ে আসার জোগাড়।’
সজীব কি বলবে বুঝতে পারছে না। প্রাণীটি মানুষের মতো একনাগাড়ে কথা বলে যাচ্ছে। প্রথম দিকে একটু আড়ষ্টতা থাকলেও এখন বাংলা ভাষা ঝরঝরে।
সজীব ঢোক চিপে কোনো মতে বলল, ‘আমার খিদে পেয়েছে।’
প্রাণীটির চোখে যেন একশ ওয়াটের বালব জ্বলে উঠল। ‘আরে তুমি তো কথা বলতে পারো। তাহলে এতক্ষণ কথা বলছিলে না কেন?’
‘ভয়ে।’ সজীব তো তো করে বলল।
‘কার ভয়ে? কিসের ভয়ে?’ কথা বলার আনন্দে যেন প্রাণীটির মুখ দিয়ে কথার তুবড়ি বের হতে লাগল।
‘আপনার ভয়ে?’ জন্তু হোক আর জীব হোক আপনা আপনি করে বলতে হয়।
প্রাণীটি এবার নিজের দিকে তাকাল। তারপর কোথায় কিসের সুইচ টিপতেই গোটা ঘর এক ধরনের হলদেটে আলোয় ভরে গেল। সেই আলোয় সজীব দেখতে পেল মানুষের মতো একটা প্রাণী, গরিলার মতো লোমশ লোমে ঢাকা।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement

সকল