ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ
- প্রিন্স আশরাফ
- ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
চৌত্রিশ.
তারপর ঠিক মানুষের মতো কিন্তু একটা মোটা কর্কশ স্বরে থেমে থেমে বলল, ‘আমাকে...মেরো...না।
আমি...তোমার...কোন...ক্ষতি করব না।’
লোমশ শরীরের শিম্পাঞ্জীর মতো প্রাণীটি যদি তার ওপর শিকারী জন্তুর মতো হামলে পড়ত তাহলেও বোধ হয় সজীব এতটা অবাক হতো না, যতটা অবাক হলো জীবটার মানুষের গলায় কথা বলায়। রূপকথার জীবজন্তু কথা বলতে পারে, ব্যাঙ কথা বলে রাজকুমার হয়। তাই বলে এই কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট পিসি, আইফোন, ইন্টারনেটের যুগে! নিজের কানে না শুনলে সজীব জীবনেও বিশ্বাস করত না।
সজীবের ব্যাট ধরা হাত থেমে গেল। বলা ভালো, থামতে বাধ্য হলো। কারণ জীবটা হাত দিয়ে ব্যাটটাকে ধরে রেখেছে, যদি ওই লোমশ বিশাল বাহুটাকে হাত বলা যায়। সজীব যে ভয় পেয়ে দৌড়ে পালাবে সে উপায় নেই। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। জীবটার সুকুমার রায়ের ছড়ার মতো ভয় পেয়ো না ভয় পেয়ো না তোমায় আমি মারব না। সত্যি বলছি কুস্তি লড়ে তোমার সঙ্গে পারব না স্টাইলে কথা বললেও অবয়বই ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। শুধু ধোয়া কমে আসতে জীবটার চোখে যেন বলে দিচ্ছে ভয়ের কিছু নেই খোকা। অগত্যা সজীব ব্যাট ছেড়ে দিয়ে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রাণীটি আবারও মানুষের গলায় নরোম স্বরে বলে, ‘তোমার খিদে পেয়েছে খোকা?’ (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা