৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

চৌত্রিশ.
থানা পুলিশ হাসপাতাল জিডি সব শুনে শাহেদা বেগম অস্থির হয়ে পড়লেন।
অজানা আশঙ্কায় বুক কাঁপতে লাগল। কী হতে পারে সজীবের? খারাপ কিছু? তিনি আর ভাবতে পারলেন না।
হু হু করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মিসেস শাহেদা বেগম।

ভয়ে সজীবের গা হাত পা কাঁপতে লাগল। মানুষ অথবা ভুত যেই আসুক এখানে তাকে দেখে যে খুশি হবে না তা তো বোঝাই যায়। পেটে একটু কিছু পড়ায় শরীরের বলের সাথে মনেরও জোর পাচ্ছে। দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান সজীবের কব্জির জোর বেশ। প্রতিপক্ষের ফুলটস বলকে সীমানার বাইরে পাঠাতে তার খুব বেগ পেতে হয় না। সজীব একটা ভাঙা চেয়ার পেল। চেয়ারের একটা পায়া ছাড়ানো। সেটিকেই ব্যাটের মত হাতে বাগিয়ে ধরে বসে রইল।
বসে থাকতে থাকতে তার ঝিমুনি পেয়ে গেল। মশার কামড়। খুঁজতে গিয়ে একটা পুরনো মশার কয়েল পেল। ধরিয়ে দিলো। ধোঁয়ায় ভরে গেল সারাঘর। আর সেই ধোঁয়ার মধ্যে মনে হচ্ছে কিছু একটা পাক খেয়ে উঠছে। আলাউদ্দিনের সেই প্রদীপের জিনের মতো। কিন্তু সেটি শূন্য থেকে পাক খেয়ে ওঠেনি। সম্ভবত কোনো গোপন কুঠরি থেকে উঠে এসেছে। সজীব ধোঁয়ার মধ্যে অদ্ভুত জীবটাকে লক্ষ্য করে ব্যাট দিয়ে সজোরে বাড়ি কষাতে গেল। কিন্তু গরিলার মতো বড় বড় লোমে ঢাকা জিভটা ঠিক মানুষের মতো দুই পায়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সামনের পাটাকে হাতের মতো ব্যবহার করে সজীবের ব্যাটটা ধরে ফেলল।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement