ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ
‘আমি আমার সাধ্যমতো খোঁজখবর করার চেষ্টা করছি।’ প্রিন্সিপাল আশ্বস্ত করতে চাইলেন। ‘এখনই ভেঙে পড়বেন না।- প্রিন্স আশরাফ
- ২২ অক্টোবর ২০২২, ০০:০৫
তেত্রিশ.
তার পর আজকে আবার একজন ছাত্র স্কুলের বাঁশ পড়ে মাথা ফাটাল, দোষটা প্রিন্সিপালের ওপরই বর্তায়। মাথা ফাটানো ছাত্রের ঝামেলা শেষ করে রাতে এসে যদি শোনেন স্কুলের কাস থেকে একজন ছাত্র মিসিং তাহলে কেমন লাগে!
গার্জিয়ান আর গার্ডকে নিয়ে প্রিন্সিপাল গোটা স্কুল ঘুরে দেখলেন। কোথাও কাউকে পাওয়া গেল না। কাউকে পাওয়া যাওয়ার কথাও নয়। কারণ ওরা তো আর পরিত্যক্ত কাসরুম ৩৬৫তে খুঁজে দেখেনি।
প্রিন্সিপাল সজীবের মাকে নরোম স্বরে বললেন, ‘আপনারা সম্ভাব্য সব জায়গায়, আত্মীয় স্বজন, বিশেষ করে বন্ধুবান্ধবের বাসায় খূুঁজে দেখেন। এ বয়সের ছেলেমেয়েরা বন্ধু অন্তপ্রাণ হয়ে থাকে, হয়তো কোন বন্ধুর বাসায় গিয়ে আটকা পড়েছে। না হলে কোথাও আড্ডা দিচ্ছে।...’
‘তা হলে তো অন্তত একটা ফোন তো করবে।’ কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন শাহেদা বেগম। তিনি আর কিছু ভাবতে পারছেন না। সজীবের বাবাকে ফোন করে জানানো দরকার।
‘আমি আমার সাধ্যমতো খোঁজখবর করার চেষ্টা করছি।’ প্রিন্সিপাল আশ্বস্ত করতে চাইলেন। ‘এখনই ভেঙে পড়বেন না। হয়তো কিছুই হয়নি সজীবের। আছে কোথাও। আগামীকাল স্কুল খুললে সজীবের খোঁজে সব ছাত্রছাত্রীরদের অ্যালার্ট করব। কেউ হয়তো সন্ধান জেনে থাকতে পারে।
‘কিন্তু আজকের রাতে কি হবে?’
‘দেখুন একটা রাত অপেক্ষা করে। থানায় একটা জিডি করে আসতে পারেন।’
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা