ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ
- প্রিন্স আশরাফ
- ১৭ অক্টোবর ২০২২, ০০:০৫
একত্রিশ.
তাহলে তো অন্তত দোকান থেকে হলেও একটা ফোন তো দিতে পারে!
স্কুলে শেষে দুটো ছেলে এসেছিল। এখানে তারা বদলি হয়ে এসেছে অল্প কিছু দিন। সজীবকে স্কুলে ভর্তি করাতে আরো কিছু দিন লেগে গেল। কাউকেও তেমন ভালো ভাবে চেনা নেই তার। ছেলে দুটোকেও তিনি ভালোভাবে চেনেন না। ওরা সত্যিই সজীবের কাসের তো? নাকি ওরাই কোন ঘাপলা বাঁধিয়ে আগ বাড়িয়ে খবর দিতে এসেছিল। অজানা আশাঙ্কায় মিসেস শাহেদা বেগমের বুক কাঁপতে লাগল।
ছেলে দুটোর ঠিকানা লেখা আছে। খুব বেশি দূরেও নয়। রিকশা নিয়েই চলে যাওয়া যাবে। এশার আজান পড়তেই বুঝতে পারলেন আর দেরি করা ঠিক হবে না।
রাফির মা বাবা দুজনই বেশ ভালো মানুষ গোছের। দু’জনেই নটা-পাঁচটা চাকরি করেন। সারা দিন চাকরি শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। রাফি তার রুমে বসে পড়ছিল। এরকম সময় মিসেস শাহেদা বেগমের আগমনে তারা একটু হকচকিয়েই গেলেন।
রাফি এবং শাহেদা বেগমের কথা শুনে রাফির বাবা মাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘চব্বিশ ঘণ্টার ওপাশে না গেলে মিসিং বলা ধরা হয় না।’
রাফির মা ধমক দিয়ে উঠলেন, ‘চুপ করো তো তুমি। আইন কপচাবা না।’ তারপর শাহেদা বেগমের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আত্মীয়স্বজনের বাসা, হাসপাতাল, পুলিশ স্টেশন এসব জায়গায় খোঁজ নিয়েছেন?’
মিসেস শাহেদা বেগম দুদিকে মাথা নাড়লেন। কথা বলার মতো মানসিক অবস্থা তার নেই। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা