ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ
- প্রিন্স আশরাফ
- ১৬ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
ত্রিশ.
কিন্তু সেটাই তার চমকানোর কারণ নয়। টেবিলের ওপর খাবারের ভুক্তাবশেষ। জংলী ফলপাকড়। মাটির নিচের কাচাসবজি। সেগুলো দেখে সজীব চমকে উঠল। মোটামুটি টাটকা। বড়জোর কালকের হবে। একটুখানি মুখেও দিলো। হু এখনো ততটা নষ্ট হয়নি। খেতে খেতেই বুঝতে পারল কিছু একটা ভুল হচ্ছে। এই ঘরটা যদি পরিত্যক্ত হয়েই থাকবে তাহলে এখানে বসে খানা খাবে কে? ভূতেরা নিশ্চয় গাজর শসা বীটকপি খায় না? তার মানে কেউ একজন এখানে আছে অথবা আসে। রাত যাপন করে। সেই হয়তো ভূতের ভয় দেখিয়ে সবাইকে দূরে সরিয়ে রাখে। হয়তো কোনো ভয়ঙ্কর মতলবেই এই জায়গাটায় আস্তানা গেড়েছে।
হঠাৎ করে ইঁদুর ব্যাঙ সব এক সাথে ডেকে উঠল।
ভয়ে সজীবের গা হাত পেটের মধ্যে ঢুকে যাওয়ার জোগাড়।
সন্ধ্যার পর থেকেই মিসেস শাহেদা বেগমের কপালে দুশ্চিন্তার রেখা বড় হতে লাগল। সজীবের বাবা অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে। আসবে শুক্রবারে। তাকেও এখনো কিছু জানাননি। ক্রিকেট খেলা থাকলে সজীব মাঝে মধ্যে স্কুল থেকে ফিরতে দেরি করে। কিন্তু তাই বলে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও কখনো বাড়ি আসেনি, এমনটি তো হয়নি। তিনি অস্থিরভাবে ঘরের মধ্যে পায়চারি করতে লাগলেন। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা যাক। এখনই আত্মীয়স্বজনের বাসায় ফোন করে তাদের উৎকণ্ঠিত করার দরকার নেই। হয়তো খেলা শেষে কোনো বন্ধুর পাল্লায় পড়ে রেস্টুরেন্টে গেছে। খেয়ে আসতে দেরি হচ্ছে।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা