৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

ঊনত্রিশ.

আল্লাহর নাম করে ড্রয়ারের ভেতর হাত দিলো। কিছু ছোট ছোট জিনিসের সাথে গ্যাসলাইটের মতো কিছু একটা ঠেলল। বের করে এনে বুঝতে পারল গ্যাস লাইটই। ভেতরে গ্যাস আছে কিনা আল্লাহই জানে!
গ্যাস লাইট দু-একবার স্পার্ক করে জ্বলে উঠল। সজীব বুনসেন বার্নার জ্বালাল। নীলচে আলোয় ভরে গেল ল্যাবরেটরি। পায়ের কাছে একটা পাত্র দেখে ওয়াটার পটই মনে হলো। প্রথমে হাতে একটু ঢালল। পানির মতোই তরল। এত পিপাসার্ত সে জিভে না ঠেকিয়ে উপায় নেই। তাই বিষ হলেও তাকে খেয়ে দেখতে হবে। জিভে ঠেকাল। পানির মতোই স্বাদ বা স্বাদবিহীন ডিস্টিল ওয়াটার। তাই খানিকটা ঢকঢক করে খেয়ে পরান জুড়াল। একটু ধাতস্ত হলো।
রুমের শেষ মাথায় অনেক খাঁচা ঝোলানো। সেদিকে এগিয়ে গেল সজীব। ব্যাঙ আর ইঁদুরের খাঁচা। কিন্তু ওগুলোর সাইজ যেন কেমন, স্বাভাবিক না। বড়ো বড়ো। মানুষ আর আলো দেখে ইঁদুরগুলো কিচকিচ শব্দ করে উঠল। সজীব ভয়ে পিছিয়ে গেল। ইঁদুরগুলোর চাহনি যেন স্বাভাবিক নয়। হিংস্র একটা ভাব ভেতরে। বেরিয়ে আসতে পারলে ছোট ছোট দাঁতে তাকে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলবে। অভুক্ত প্রাণীগুলো।
নিজের খিদেও জানান দিচ্ছে। পেট চোঁ চোঁ করছে। আর তখনই মনে পড়ল স্যার বলেছিল এক্সম্যান জীবজন্তু নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেন। তাহলে এগুলো এক্সম্যানের পোষা ইঁদুর।
একটা ডেস্ক টেবিলে চোখ পড়তেই সজীব চমকে উঠল। খাবার টেবিল। সাথে বসার চেয়ারও আছে।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement