৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

সাতাশ.
কিভাবে ছুটির আগে ছেলেটা বাথরুমে আটকা পড়েছিল ভেবে তার গলা বুক শুকিয়ে আসতে লাগল। তবে ছবিতে অনেক দিনের জন্য স্কুল ছুটি হয়েছিল। আগামীকাল বুধবার। স্কুল খুলবে। তখন হয়তো সে উদ্ধারর পেতে পারে। স্কুল ছুটির আগে কি ওরা সে তাকে বের করবে না?
টিফিন পিরিয়ড শেষে আবার ক্লাস শুরু হয়েছে। সজীব ল্যাব রুমে বসেই বুঝতে পারল। ছেলেমেয়েদের কোলাহল চুপচাপ। স্যারের ক্লাসে ঢুকে পড়েছেন। এখন ইসলামিয়াত ক্লাস। টিফিনের পরের পিরিয়ডে মাঝে মাঝে রোলকল করা হয়। আজ কি রোল কল করা হবে? স্যারের নজরে কি পড়বে একজন ছাত্র ব্যাগ রেখে বাইরে? রাফি আর নিলয়ও তো জানাতে পারে। কিন্তু তাকে যে এই ভুতুড়ে রুমে আটকা রাখা হয়েছে তা ওরা কিভাবে জানবে?
খিদে পেটে বসে থাকতে থাকতে ঝিমুনির মতো এসেছিল। হঠাৎ করে স্কুলের দিক থেকে হৈচৈয়ের শব্দ শুনতে পেল। ‘এক্সিডেন্ট, বাঁশ পড়েছে, মাথা ফেটে গেছে।’ এই জাতীয় টুকরো টুকরো কথাবার্তা ভেসে আসতে লাগল। ভয়ে কেঁপে উঠল সজীব। কে আবার এক্সিডেন্ট করল? স্কুলের মধ্যে এক্সিডেন্ট হয় কিভাবে? তার কথাই বলছে নাকি? কিন্তু সে তো এক্সিডেন্ট করে নাই। ভূতের ঘরে আটকা পড়ে আছে। আর তারতো মাথাও ফাটেনি।
এসব ভাবতে ভাবতেই অ্যাম্বুলেন্সের হৃদয় বিদারক পো পো শব্দ শুনতে পেল। কেউ একজন এক্সিডেন্ট করেছে। তার জন্যই অ্যাম্বুলেন্স এসেছে। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement