৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

ছাব্বিশ.

অন্ধকার ক্লাস রুমে ঢুকে সজীবের গা ছমছম করে উঠল। সে বেরুনোর দরজায় ধাক্কা দিয়ে বুঝতে পারল বাইরে থেকে বন্ধ। অনেক ধাক্কাধাক্কি ডাকাডাকি করল, কেউ দরজা খুলল না। ভয়ে সিটিয়ে দরজার গায়েই হেলান দিয়ে বসে রইল সজীব। ধীরে ধীরে অন্ধকার চোখ সয়ে আসতে লাগল। রুমের ভেতর তাকিয়ে ভালভাবে দেখতে চেষ্টা করল। নানারকম যন্ত্রপাতি, টেস্টটিউব, মাইক্রোস্কোপ, বুনসেন বার্ণার দেখে বুঝতে পারল একসময় বিজ্ঞান ল্যাব ছিল। তাহলে এই রুমের কথাই রাফি আর নিলয় বলছিল? বিজ্ঞান স্যারও এই ল্যাবের কথা বলেছিল? এক্সম্যান স্যারের ল্যাব? ল্যাবের ভেতরেই স্যার খুন হয়েছিলেন। স্যারের রক্তমাখা জামাকাপড় পাওয়া গিয়েছিল। সবার ধারণা স্যার ভূত হয়ে এই ল্যাবের ভেতরেই রাতে গবেষণা করেন। ভেতর থেকে নানারকম খুটখাট আওয়াজ হয়।
সজীব ল্যাবের ভেতর থেকে চোখ সরিয়ে দরজা দিয়ে বাইরে তাকাতে চেষ্টা করল। দরজা একটুও ফাঁক হলো না। সে গলা ফাটিয়ে ‘রাফি, নিলয়’ বলে ডাকতে লাগল। কেউ কোনো সাড়া দিলো না। তারপর আরো জোরে জোরে ‘স্যার, আমি ভেতরে আটকা পড়েছি। ওরা আমাকে আটকে রেখে গেছে স্যার।’ বলে চেঁচাতে লাগল। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল। কেউ আসে কিনা। কারোর পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে না। স্কুল বিল্ডিংয়ের এদিকটাতে কেউ মনের ভুলেও আসে না। বড় মানুষেরও ভূতের ভয় আছে। তার ছুটির ঘণ্টা ছবির কথা মনে পড়ল।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement