সারস ও কাঁকড়া
- রূপান্তর: শেখ আবদুল্লাহ নূর
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
(গত দিনের পর)
মরণের আগে খল্লা শুধু বলতে পেরেছিল, ‘মাছখেকো কখনো মাছের বন্ধু হয় না। জাত-শত্রুকে বিশ্বাস করে নিজ কওমকে ধ্বংস করে দিলাম! আহা!’
সারস খল্লা মাছটিকে ঠুকে ঠুকে খেলো। তারপর এর হাড়গোড় তালগাছের তলায় ফেলে দিলো। খাওয়া-দাওয়া শেষে তৃপ্তির এক ঢেঁকুর তুলে সে উড়ে আবার চলে গেল সেই জলার ধারে।
এবার সে নিয়ে এলো সরপুঁটিকে। দ্বিতীয় বারের পালা তার-ই প্রাপ্য। সরপুঁটিকে ঠোঁটে তুলে নিয়ে চলে এলো এই তালগাছে। তাকেও সে বেশ মজা করেই খেলো। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খেলো।
বকটি ভাবছে। আহ্, কত সহজেই না মাছগুলোকে বোকা বানালাম। এখন শুধু ইচ্ছেমতো জলার ধারে যাবো। একেকটি মাছ ঠোঁটে তুলে আনব। আর এই উঁচু তালগাছে বসে বসে খাবো।
ওই দিন আর গেল না সে জলার ধারে। মাছ খেয়ে পেট ভরে গেছে তার। তাই, সোজা চলে গেল সে হিজল গাছে তার বাসায়। সারাদিন বিশ্রাম নিলো। রাতে শান্তিতে ঘুমাল। আরামে কেটে গেল রাত। ভোর হলো। সূর্য উঠি উঠি করছে। বাসা থেকে পাখা মেলে সারস। কিছুক্ষণ নীল আকাশে উড়ে বেড়ায়। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা