৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

সজীব শিহরে উঠল। সে কারণেই সকালে স্কুলে এসে ওদিকে তাকিয়ে তার বুকের ভেতরটা ছ্যাৎ করে উঠেছিল।
-

চৌদ্দ.
‘এক্সম্যানের ঘটনা তো এই বিজ্ঞান ক্লাসকে নিয়েই। বিজ্ঞানের এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়েই তিনি এক্সম্যান মানে অদৃশ্য মানুষ হয়ে যান।’ রাফি বিড়বিড় করে বলল। সজীবের মতো রাফিও বেশ লম্বা চওড়া। বেশ খেলায়াড়ি পেশি তার। ফাস্ট বোলার সে। তবে নিগ্রোদের মতো কুচকুচে কালো। ও গর্ব করে বলে, ‘আমার পূর্বপুরুষ আফ্রিকার খনি শ্রমিক ছিল। আমাদের বাড়িতে এখনো হিরের মজুদ আছে।’
‘আমি শুনেছি এক্সম্যান স্যার খুন হয়েছেন। এই পুরাতন ভবনের সেই নিষিদ্ধ ক্লাসরুমে স্যারের রক্তমাখা জামাকাপড় পাওয়া গেছে।’ নিলয় নিচু গলায় বলল। তার লেখা শেষ।
সজীব শিহরে উঠল। সে কারণেই সকালে স্কুলে এসে ওদিকে তাকিয়ে তার বুকের ভেতরটা ছ্যাৎ করে উঠেছিল। কি ভয়ংকর কথা! স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক ক্লাসরুমে খুন হয়েছেন। তার রক্তমাখা জামাকাপড় পাওয়া গেছে। স্যারকে পাওয়া যায়নি। লাশ অদৃশ্য হয়ে গেছে।
‘উহু খুন হননি।’ রাফি দুদিকে মাথা নাড়ল। ‘খুন হলে লাশ তো পাওয়া যাওয়ার কথা। লাশ পাওয়া যায়নি।’ সে নিচু গলায় রহস্যময় স্বরে বলল, ‘আসলে সত্যিটা কি জানিস? স্যার অদৃশ্য হয়ে গেছেন। নানারকম এক্সপেরিমেন্ট করতেন তো...’
রাফি আর কথা বলার সুযোগ পেল না। হরিপদ স্যার বেরিয়ে যেতেই বিজ্ঞান স্যার ক্লাসে ঢুকেই হুংকার ছাড়লেন। ‘পিন-ড্রপ-সাইলেন্স।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement