ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ
- প্রিন্স আশরাফ
- ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০৫
বারো.
‘অ্যাসেম্বলি শেষ হোক। পরে শুনিস। ওই দেখ, গেম টিচার বাঁশি দিচ্ছে।’
অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়েও সজীবের মনের মধ্যে পুরনো স্কুলের ঘটনার কথা চিন্তা করে। আমি শপথ করিতেছি যে... ভুলভাল বলতে থাকে। গেম টিচার মোক্তার স্যার তার পাশে এসে দাঁড়ায়। এর মধ্যেই মোক্তার স্যারের সাথে তার মোলাকাত হয়েছে। সে যে ক্রিকেটে, বিশেষত ব্যাটিংয়ে ভালো মোক্তার স্যার তা জেনে গেছেন।
স্যার চোখ রাঙিয়ে বললেন, ‘উড়– উড়– মন কোথায় থাকে? সামনে তাকা।’
অ্যাসেম্বলির পরপরই বাংলা ক্লাস। হরিপদ স্যারের। প্রথমে রোল কল। সজীবের রোল সবার শেষে। ভর্তির রোল। রোল কল শেষে হরিপদ স্যার ওদের একটা ভাবসম্প্রসারণ দিলেন- শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ কর শির। ওটা এখনই পড়ে লিখে দিতে হবে। স্যার টেবিলের ওপর কোনো একটা ক্লাসের পরীক্ষার খাতা দেখছেন। সজীব ভাবসম্প্রসারণে চোখ বুলিয়েই বুঝল পারবে। আগের স্কুলে থাকতে শিখেছিল। ওর দু’পাশে বসেছে রাফি আর নিলয়। এই স্কুলে এখন পর্যন্ত ওর প্রিয় বলতে এই দু’জন। তাও হয়েছে ক্রিকেটের সুবাদে। ভালো ব্যাটসম্যানকে সবাই তোয়াজ খাতির করে। রাফির জন্ম এই শহরে। বড়ও হয়েছে এখানে। ওর বাবা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সজীবের মতো নিলয়ও এখানে নতুন। তবে একেবারে নতুন নয়। এই স্কুলে নিলয়ের তিন মাস হয়ে গেছে।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা