২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

মঙ্গল গ্রহ লাল কেন

-

জানো, সূর্য থেকে দূরত্ব হিসেবে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান চার নম্বর। সৌরজগতের গ্রহগুলো সূর্যের আলোর প্রতিফলনে উজ্জ্বল হয়। যে গ্রহে যত বেশি সূর্যালোক পড়ে সে গ্রহ তত বেশি উজ্জ্বল।
বুধ সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বলে বুধকে সৌরজগতের উজ্জ্বল গ্রহ বলা হয়। এর এক অংশ সূর্যের দিকে অন্য অংশ সবসময় সূর্যের আড়ালে থাকে। মনে করা হয় বুধ গ্রহে কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। এর পরই শুক্রের অবস্থান। পৃথিবীর খুব কাছে থাকায় শুক্র গ্রহকে আমরা সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে সন্ধ্যা তারা আর ভোরে পূর্বাকাশে শুকতারা হিসেবে দেখি। এরপরই পৃথিবীর অবস্থান। পৃথিবীর পর মঙ্গল গ্রহের অবস্থান। পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব ৭.৮ কোটি কিলোমিটার আর সূর্য থেকে ২২.৮ কোটি কিলোমিটার। একে মাঝে মাঝে আকাশে দেখা যায়। উজ্জ্বলতার দিক থেকে শুক্রের পরই মঙ্গলের অবস্থান। মঙ্গল গ্রহ লালচে কমলার মতো বলে সহজেই দৃষ্ট আকর্ষণ করতে পারে। অনেকে একে লাল গ্রহ বলে।
মঙ্গল গ্রহ নিয়ে অনেক গবেষণা করা হয় এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য বেশ কিছু যানও সেখানে পাঠানো হয়। সেখানে বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব পৃথিবীর বায়ুর ঘনত্বের ১০ ভাগের ১ ভাগ। সেখানের বায়ুতে অর্গান ১-২ ভাগ। কার্বনডাই অক্সাইড ৯৫ ভাগ, নাইট্রোজেন ২-৩ ভাগ, আর অক্সিজেন ০.৩ ভাগ, আর খুব অল্প পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে। মাঝে মাঝে এ গ্রহের উপর দিয়ে ঘন মেঘ চলাচল করে। তাপমাত্রাও দ্রুত হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।
গ্রহটি বাইরে থেকে কিছু অংশ অন্ধকার আর কিছু অংশ উজ্জ্বল দেখায়। এর ভূমির আকৃতি দ্রুত পরিবর্তন হয়। এর মাঝে কিছু অংশ উঁচু ভূমি আছে, যা লালচে বাদামি রঙের মরুভূমি দিয়ে ঢাকা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এখানে লিমোনাইট পদার্থ আছে, যা শুধু মরুভূমিতেই থাকে। এই বালুতে আয়রন অক্সাইডও আছে। এখানে ১৫০ কিলোমিটার বেগে হওয়া প্রবাহিত হয়। এতে বালু উড়তে থাকে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম বলে ঝড়ের বায়ু চূর্ণ অনেক দিন বাতাসে ভাসতে থাকে। লাল বালু মঙ্গল গ্রহের বাইরের অংশে অবস্থান করে বলে মঙ্গল গ্রহকে লাল কমলা লেবুর মতো মনে হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement