ধূসর বক
- ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
আজ তোমরা জানবে ধূসর বক সম্পর্কে । এটি এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার সর্বত্র পাওয়া যায়। সিঙ্গাপুরে এটিই সবচেয়ে বড় পাখি।
লিখেছেন শাহরিয়ার মাসুম
তোমরা কি জানো, ধূসর বক আরডিডি (অৎফবরফধব) পরিবারভুক্ত বড় আকৃতির জলচর পাখি? এ পাখি এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার সর্বত্র পাওয়া যায়। সিঙ্গাপুরে এটিই সবচেয়ে বড় পাখি। আমেরিকান বৃহৎ নীল বকের সাথে ধূসর বকের কিছুটা মিল রয়েছে। তবে আকারে আমেরিকান নীল বক কিছুটা বড়। অস্ট্রেলিয়ান সাদামুখো বককে মাঝে মাঝে ভুল করে ধূসর বক বলা হয়।
ধূসর বকের ইংরেজি নাম এৎবু ঐবৎড়হ। মালয় ভাষায় বলা হয় পুকং সেরিয়াপ। বৈজ্ঞানিক নাম অৎফবধ পরহবৎধ।
ধূসর বক লম্বায় ৯০ সেন্টিমিটার থেকে ১ মিটার। ডানার বিস্তার ২ মিটার। ওজন ১.৫ কেজি। পালকের বর্ণ ধূসর। ঘাড় সাদা। সামনের দিকে সাদার ওপর কালো ডোরা দাগ আছে। প্রজনন ক্ষমতা অর্জনের আগে ঠোঁটের রঙ হলুদ এবং পায়ের রঙ হলুদাভ বাদামি থাকে। প্রজনন ক্ষমতা প্রাপ্তির পরে ঠোঁটের রঙ কমলা এবং পায়ের রঙ গোলাপি হয়।
ধূসর বক ম্যানগ্রোভ বনে বসবাস করতে পছন্দ করে। কারণ ম্যানগ্রোভ বনে এদের শিকারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হিসেবে অগভীর পানি, কাদার চর রয়েছে। এ ছাড়া বিশ্রাম ও বাসা তৈরির জন্য উঁচু গাছ রয়েছে।
শিকারের জন্য এরা কাদায় অথবা অগভীর পানিতে কয়েক ঘণ্টা নিশ্চল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ধূসর বক দলবদ্ধভাবে বাস করলেও শিকার ধরে একা একা। তবে শিকার বেশি পেলে দলবদ্ধভাবেও শিকার করে। এরা ভোর ও সন্ধ্যায় বেশি সক্রিয় থাকে।
মাছ, উভচর প্রাণী, কীটপতঙ্গ, কাঁকড়া, ছোট স্তন্যপায়ী (ইঁদুর), কচ্ছপের বাচ্চা, ছোট পাখি ইত্যাদি খাবার হিসেবে গ্রহণ করে।
ধূসর বক সাধারণত কলোনিতে বাসা তৈরি করে। লম্বা গাছে বাসা তৈরি করতে পছন্দ করে। গাছের ডাল ও ঘাসের সমন্বয়ে ৪০-৪৫ সেন্টিমিটার প্রশস্ত বাসা তৈরি করে। বাসা তৈরির উপকরণ পুরুষ পাখি সংগ্রহ করে। স্ত্রী পাখি সবুজাভ নীলবর্ণের ৩-৬টি ডিম পাড়ে। ২৪-২৭ দিন তা দেয়ার পরে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। ৭ সপ্তাহ থেকে ৩ মাস বয়স হলে বাচ্চা উড়তে সক্ষম হয়। মা বক ও বাবা বক উভয়েই বাচ্চার দেখাশোনা করে।
গোশত খাওয়ার জন্য ধূসর বক শিকার করা হয়। দূষণ, কীটনাশক ও বাসস্থান ধ্বংসের কারণে ধূসর বকের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা