ঘটন-অঘটন সুন্দরবন
- প্রিন্স আশরাফ
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আঠার.
কিন্তু তখনো ওরা পুলিশের ব্যাপারটি জানতে পারেনি।’
‘ফয়সালের সাথে আপনার কথা হয়েছিল?’
‘হ্যাঁ। প্রথম তিন দিন প্রতিদিনই একবার করে কথা হয়েছে। কিন্তু যখন ওরা পুলিশের তৎপরতা জানতে পারল তখন থেকে ফয়সালের সাথে আর কথা হয়নি। ওরাও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।’
‘আপনাকে হুমকি দিয়ে মোবাইলে মেসেজ আসে কবে?’
‘গতকাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি মোবাইলে মেসেজ এসেছে । আর আজ সকালে বাসার গেটের সামনে একটা প্যাকেট পড়ে থাকে। হাতে হাতে এসেছে। উপরে আমার নাম ঠিকানা লেখা। খুলে দেখি ভেতরে কাফনের কাপড়।’
‘কাফনের কাপড়টা কি সাথে এনেছেন?’
শামসুদ্দিন সাহেব আঁতকে উঠে বললেন, ‘কেউ কি কাফনের কাপড় নিয়ে ঘোরে নাকি? মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও তো ঘোরে না।’
‘ঠিক আছে। এখন আপনি আমাকে কী করতে বলেন?’
হঠাৎ করে শামসুদ্দিন সাহেব সামনে এগিয়ে এসে দুই হাত দিয়ে নাভিদের হাত জোড় করে ধরে বললেন, ‘বড় বিপদে পড়ে আপনার এখানে এসেছি ভাই। এই বিপদ থেকে আমাকে রক্ষা করুন। টাকা-পয়সা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনার পারিশ্রমিক ছাড়াও যেখানে যেতে যত খরচ লাগে আমি আপনাকে দেবো। আমার ছেলেটাকে বাঁচান।’
নাভিদ মনে মনে বলল, এতদিন বেঁচে থাকলেই না বাঁচানোর কথা। কিন্তু সেটি তো আর মুখ ফুটে বুভুক্ষু-হৃদয় পিতাকে বলা যায় না।
‘সামিউল সাহেবই আপনার কথা বললেন। বললেন, আমরা তো আমাদের মতো চেষ্টা করছিই। কিন্তু আমাদের কাজ তো হাঁকডাক করে। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা