ঘটন-অঘটন সুন্দরবন
- প্রিন্স আশরাফ
- ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ষোল.
ছেলের সাথে আজ তিন দিন সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ওরা র্যা ব পুলিশ পত্রিকা কাউকে জানাতে নিষেধ করেছিল। এখন আবার আমাকে হুমকি দিচ্ছে। বুঝতেই তো পারছেন ভাই, আমার মানসিক অবস্থাটা।’
‘হ্যাঁ। কিন্তু আপনার হুমকিটা অত গুরুত্ব দেয়ার কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। ওরা সম্ভবত ফয়সালের উপর থেকে মনোযোগ সরাতে আপনাকে ব্যস্ত রাখছে। ওদের অন্য কোনো পরিকল্পনা আছে। আপনি ওদের টার্গেট হলে ফয়সালকে অপহরণ করত না।’
‘কি জানি! সব কেমন যেন জট পাকিয়ে যাচ্ছে। যার উপর মৃত্যুর পরোয়ানা আসে, সেই বুঝতে পারে মৃত্যু জিনিসটা কী। থাক, ওসব কথা। যে কথা বলছিলাম, ফয়সালের মতো বয়সী ছেলেদের মেয়েদের নিয়ে কৌতূহল জাগ্রত হয়। সেই কৌতূহলের কারণেই ‘ও’ মেয়েটির ফাঁদে পা দেয়। ওর বন্ধুদের কাছ থেকে জানা যায়, মেয়েটি প্রথমে ওর সাথে কথা শুরু করেছিল। মেয়েটার নাম সামিয়া। আসল নাম কিনা জানি না। দীর্ঘ তিন মাস তারা কথা চালিয়ে গেছে। আমরা জানতেও পারিনি। কাঁচা বয়স, মেয়েটার টানে হাবুডুবু খেতে খেতে ফয়সাল মেয়েটার সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত জানায়। মেয়েটাই হয়তো তাকে চাপ দিচ্ছিল। এখান থেকে ঠিক ছয় দিন আগে গত মঙ্গলবারে তাদের দুজনের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ করার বিষয়ে পাকাপাকি হয়। ফয়সাল সেদিন স্কুলে যায়নি, বন্ধুবান্ধব কাউকে কিছু জানাায়নি, হাত খরচের মতো হাজার দেড়েক টাকা, দামী মোবাইল সেট, ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে সবচেয়ে সুন্দর শার্টপ্যান্ট পরে সে মেয়েটার সাথে দেখা করতে যায়। ওরা যে আশুলিয়া ফ্যান্টাসি কিংডমে যায় এ ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তারপর থেকে ফয়সালের আর কোনো পাত্তা নেই।’ শামসুদ্দিন সাহেব ফুঁপিয়ে ওঠেন। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা