১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ শাবান ১৪৪৬
`

তুর্কি বীর এরতুগরুল

-

জানো, ‘এরতুগরুল’ একজন তুর্কি বীর । এরতুগরুল গাজি নামেও তার পরিচিতি আছে। এরতুগরুল মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে এক অনন্য নাম।
জাতিতে তিনি তুর্কি; ওঘুজ তুর্কিদের কায়ি গোত্রের নেতা। আনাতোলিয়ায় তার একটি রাজ্য ছিল, তবে এটি স্বাধীন ছিল না। সেলজুক তুর্কিদের অধীন ছিলেন তিনি। তার শাসনকাল ১২৩০-১২৮১।
এরতুগরুল ছিলেন ‘ওসমানীয় সাম্রাজ্যে’র প্রতিষ্ঠাতা প্রথম ওসমানের পিতা। স্বাধীন শাসক না হলে কী হবে, ওসমানীয় সাম্রাজ্যের ভিত গড়েন তিনি। পরে তার পুত্র প্রথম ওসমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন সেলজুক সালতানাত থেকে, ১২৯৯ সালে। এই ওসমানীয় সাম্রাজ্য এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডে বিস্তৃত হয়।
এরতুগরুলের জন্ম ১১৯১ সালে। মতান্তরে ১১৯৮ সালে, বর্তমান তুরস্কের আহলাতে। ১২৩০ সালে তিনি নিজ গোত্রের নেতৃত্ব লাভ করেন। তিনি বর্তমান তুর্কমেনিস্তানের মার্ভ থেকে ৪০০ অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে আনাতোলিয়ার ‘রুমে’র সেলজুক সালতানাতের পক্ষে বাইজানটাইনীয়দের বিপক্ষে যুদ্ধ করে সফলতা লাভ করেন। রুমের সেলজুক
সুলতান তার বীরত্বে মুগ্ধ হন এবং আঙ্গোরার (আঙ্কারা) কাছে কারাকাদাগ পার্বত্য ভূমি প্রদান করেন। কথিত আছে, সেলজুক নেতাদের নীতি ছিল, শত্রু বাইজানটাইনীয় বা অন্য কোনো শত্রুকে তাড়াতে পারলে এরতুগরুল ভূমি পাবেন। তার মানে তাকে শত্রুর ভূমি অধিকার করে নিতে হবে। ১২৩১ সালে এরতুগরুল সগুত অধিকার করেন। পরবর্তীকালে তিনি সগুত এবং এর চার পাশের এলাকা লাভ করেন। পশ্চিম আনাতোলিয়ার সগুত ছিল একটি গ্রাম। পরে এরতুগরুলের পুত্র প্রথম ওসমানের অধীনে এটি ওসমানীয়দের রাজধানী হয়। এরতুগরুলের আরো দুই পুত্র ছিল- সাভ্দ্জি ও গানদাজ। এই বীর সৈনিক ও শাসকের মৃত্যু হয় সগুতে, ১২৮১ সালে। এই শহরে তার জাঁকজমকপূর্ণ সমাধিসৌধ রয়েছে।
১৯ শতকে ওসমানীয় নৌ ফ্রিগেট এরতুগরুলের নামকরণ করা হয়েছিল তার সম্মানে। ১৯৯৮ সালে তুর্কমেনিস্তানের আশগাবাতে এরতুগরুল গাজি মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয় এই তুর্কির নামানুসারে।
বৃহত্তর তুর্কিদের (ঞঁৎশরপ) কাছে আজো তিনি স্মরণীয় ও বরণীয়।


আরো সংবাদ



premium cement