০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১, ৩ শাবান ১৪৪৬
`
আ র ব্য র জ নী থে কে

সিন্দাবাদের চতুর্থ সমুদ্রযাত্রা

-

(গত দিনের পর)
সম্রাট আমাদের বসতে হুকুম করলেন। একটু পরে বড় বড় বারকোষ বোঝাই করে খানা এলো। খানা বলতে এক ধরনের অদ্ভুত গোশত। এ ধরনের গোশত আমি জীবনে কখনো দেখিনি। আগুনে ঝলসানো গোশতের চেহারা দেখেই আমার ক্ষিদে উবে গেল। কিন্তু আমার সঙ্গীরা ক্ষিদের জ্বালা সইতে না পেরে সেই গোশতই গোগ্রাসে খেতে লাগল। জাহাজ ডোবার পর থেকে খাওয়া দাওয়া হয়নি কারো। ক্ষিদেয় পেট চো চো করছে। তাই কোনো দিকে না তাকিয়ে আমার সঙ্গীরা গোটা বারকোষটাই সাবাড় করে দিলো। আমার খাওয়ার রুচি হলো না। বসে বসে সবার খাওয়া দেখলাম। আমার গা গুলিয়ে যাচ্ছিল ওদের ওই রাক্ষসের মতো গোশত খাওয়া দেখে।
খেয়েদেয়ে সবাই ঢেঁকুর তুলতে লাগল। ভূরিভোজের খানা। আমি কিন্তু উপোসই রয়ে গেলাম। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement