৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ২৯ রজব ১৪৪৬
`

আঁকুরা কী

-

আঁকুরা মাঝারি আকারের বহু শাখায়িত পাতাঝরা প্রকৃতির বৃক্ষ।
বলছি কী জানো, ভাওয়ালের বনজুড়ে যখন বসন্তে নতুন পাতা গজানো আর ফুল ফোটার মাতামাতি, ঠিক সে সময় গজারি বনের ফাঁকে ফাঁকে প্রায় নি®পত্র গাছের ডালে ডালে হাসতে দেখেছিলাম আঁকুরার বুনো ফুলগুলোকে। সাদাটে ঘিয়ে রঙের অজস্র ফুলে ডালের সারা গা ভরে আছে। সুগন্ধ পেয়ে ফুলের চার দিকে ঘুর ঘুর করছে বুনো মৌমাছির দল। দূর থেকে যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ সে করবেই। এরপর ধীরে ধীরে ডালগুলো পাতা ছাড়তে শুরু করে। আর পাতা গজানোর সাথে সাথে ফুলও কমতে থাকে।
আঁকুরা মাঝারি আকারের বহু শাখায়িত পাতাঝরা প্রকৃতির বৃক্ষ। শীত এলেই গাছের সব পাতা ঝরে গাছ ন্যাড়া হয়ে যায়। বসন্তে ফুল ফোটে আর পাতারাও ফিরে আসে। পাতা উপবৃত্তাকার, অগ্রভাগ সূচালো, পাতা দৈর্ঘ্যে ৮-১২ সেন্টিমিটার। ফুল সুরভিত, মাখন সাদা, পাপড়ি পুরু ও রৈখিক। মার্চে গোছা ধরে ফুল ফোটে। ফল গোলাকার। পাকলে ফলের রঙ লাল হয়ে যায়। পাকা ফল খাওয়া যায়। ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। বুনো ফল আর বুনো গাছ, এই তার পরিচয়। কেউ এ গাছ কখনো লাগায় না। তবে ঢাকায় ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেনে গাছটি আছে। যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে গাজীপুরের ভাওয়াল জঙ্গলে। এমনকি সে অঞ্চলের কোনো কোনো গ্রামীণ বনেও গাছটি দেখা যায়। আঁকুরার উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Alangium salvifolium (L.F) Wing ও cwievi Alangiaceae.
ছবি : লেখক

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement