ঘটন-অঘটন সুন্দরবন
- প্রিন্স আশরাফ
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সাত.
আগ বাড়িয়ে স্যারের সম্মান কমিয়ে লাভ নেই।
‘ঠিক আছে আসছি। তোমার স্যারকে বলো, থানা থেকে অফিসার সামিউল সাহেব এসেছেন।’ পুলিশ অফিসার তার ড্রাইভারকে পুলিশের গাড়িটা রাস্তা ছেড়ে দিয়ে এক পাশে দাঁড়াতে বলল।
জুয়েল তাড়াতাড়ি বলল, ‘স্যার। বড় গেট পুরোটা খুলে দিই। গাড়িটা ভেতরে নিয়ে আসেন।’ সে আসলে আশপাশের লোকজনকে দেখাতে চায় যে, পুলিশের সাথে তার স্যারের কত দহরম মহরম।
পুলিশ অফিসার গেট দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে বলল, ‘না থাক। বেশিক্ষণ সময় নেবো না। তোমার স্যারকে খবর দাও।’
জুয়েল পুলিশের আগে আগে বাড়ির ভেতর ঢুকে গেল। নাভিদও জানালা দিয়ে ব্যাপারটা আঁচ করে টিশার্ট পাল্টে একটা ভালো শার্ট গায়ে দিয়ে সামনের রুমে এল। ক্লায়েন্ট আসতে পারে ভেবে একটা বইয়ের আলমারি, সোফাসেট, টি টেবিল, দেয়ালে সস্তা দামের পেইন্টিং দিয়ে সামনের রুমটাকে ড্রয়িংরুম বানিয়েছে তারা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ক্লায়েন্ট আসেনি। একবার শুধু একজন সাংবাদিক এসেছিল।
পুলিশ অফিসার ড্রয়িংরুমে ঢুকতেই নাভিদ উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ‘গুড মর্নিং, আসুন।’ বলে হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলো।
স্মার্ট পুলিশ অফিসারও নাভিদের হাত ধরে জোরে জোরে ঝাঁকি দিয়ে বলল, ‘গুড মর্নিং। কেমন আছেন? কোনো কেস নিয়ে খুব ব্যস্ত আছেন নাকি?’
‘না না। হাতে কেস নেই। অলস সময় কাটাচ্ছি। বসুন। জুয়েল?’ নাভিদ জুয়েলকে ডাকতেই জুয়েল ডাকের রহস্য বুঝতে পারল।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা