ঘটন-অঘটন সুন্দরবন
- প্রিন্স আশরাফ
- ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চার.
জুয়েলের এসব তত্ত্বকথা ভালো লাগছিল না। সেও বুঝতে পেরেছে ওস্তাদ ঘরে বসে থেকে পেপার পড়ে পড়ে হাঁপিয়ে উঠেছে। আর ওস্তাদ যখন হাঁপিয়ে ওঠে তখন দার্শনিক হয়ে যায়। মুখ থেকে খালি তত্ত্ব কথা বের হয়। সে কথা ঘুরানোর জন্য বলল, ‘ভাই, ইমেইল জিনিসটা কি কাজে লাগে? ওরা তো আমার নামে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে দিলো। ওখানে কি টাকা পয়সা জমা দিতে হয়?’
নাভিদ হেসে ফেলল, ‘আরে না রে গাধা। অ্যাকাউন্ট হলেই টাকা পয়সার ব্যাপার হয় নারে। ওটা দিয়ে চিঠিপত্র চালাচালি করতে হয়। কম্পিউটারে চিঠি লিখে ইন্টারনেটে পাঠিয়ে দিতে হয়। এক পয়সাও খরচ হয় না। শুধু ইন্টারনেটের খরচটা লাগে।’
‘কোথায় চিঠি পাঠানো যায়?’
‘দেশে বিদেশে সব জায়গায় চিঠি পাঠানো যায়।’
জুয়েল মাথা চুলকে বলল, ‘তাইলে আমার অ্যাকাউন্ট কোনো কাজে লাগত না। দেশে বিদেশে আমার কেউ নেই। আপনি ছাড়া আমার বাপ মা বোনাই বেয়াই জগাই মাধাই কেউ নাই।’
‘তোকে না উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলাম।’
‘আছি তো ভর্তি হয়ে।’ জুয়েল কাচুমাচু করে বলল।
‘সেখানে কম্পিউটার ইন্টারনেট শেখায় না?’
‘বই দিয়েছে কয়েকটা। বই দিয়ে কি আর শেখা যায়? হাতে কলমে না শিখলে...’
নাভিদ পত্রিকা ধরে আছে কিন্তু পড়ছে না। ‘ঠিক আছে, আমি তোকে ওখানে ভর্তি করিয়ে দেবো। ডিজিটাল বাংলাদেশে এটা এখন খুবই জরুরি।’
জুয়েল জানে, ওস্তাদ যা বলে তাই করে। বলেছে যখন ভর্তি করিয়ে দেবে।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা