১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ঘটন-অঘটন সুন্দরবন

-

দুই.
নাভিদ কথা শেষ করতে দিলো না। ‘প্রত্যেক দিন গণধোলাই। পকেটমারের কাজ যে। আচ্ছা, দেখি উত্তেজনাকর কিছু বের করতে পারি কিনা! এখন তুই কি দেশের কাজের কথা কি বলছিলি, বল দেখি।’
জুয়েল কাচুমাচু স্বরে বলল, ‘বলতেই তো চাইছিলাম। আপনি তো অন্য প্যাচাল পেড়ে আর বলতে দিলেন না।’
নাভিদ পত্রিকার আরেকটা পাতা উল্টিয়ে খবরে মনোযোগী হয়ে বলল, ‘আমার প্যাচাল শেষ। এখন তোরটা শেষ কর।’
জুয়েল নি®প্রভ গলায় বলল, ‘সুন্দরবনের ফার্স্ট করাইতে আজ সুন্দরবনেরে ভোট দিয়া আসছি।’
নাভিদ গলার স্বর একইরকম রেখে বলল, ‘মানে? সুন্দরবন কি দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে নাকি? তারে ফার্স্ট করতে হবে?’
‘ওইরকমই। আপনি তো কোনো খোঁজ খবর রাখেন না। প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য প্রতিযোগিতা হইতাছে। প্রথম সাতটার মধ্যে সুন্দরবন আছে। আমাদের ভোট দিয়ে সুন্দরবনকে এক নম্বরে নিয়ে আসতে হবে। এজন্য দেশের লোক সব ইন্টারনেটে ভোট দিচ্ছে।’
‘তুই ইন্টারনেটে ভোট দিয়েছিস?’
‘হ্যাঁ।’
‘তুই ইন্টারনেট ব্রাউজ মানে চালাতে জানিস?’
জুয়েল আমতা আমতা করে বলল, ‘না, মানে... আমি তো চালাই নাই। দোকানের ওরা আমার নামে মেইল না কি খুলে আমার নামে ভোট দিয়ে দিয়েছে। মানে আমি দিয়েছি। একদম ফ্রি। দেশের জন্য একটা ভালো কাজ করলাম না ভাই।’
নাভিদ এখনো মনোযোগ দিয়ে পেপার পড়ছে। ‘তা তো বটেই। তা তো বটেই।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement