ঘটন-অঘটন সুন্দরবন
- প্রিন্স আশরাফ
- ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
এক.
জুয়েল নাভিদের রুমে ঢুকে ছোট্ট একটা প্রিন্টেড কাগজ টেবিলের ওপর রাখতে রাখতে বলল, ‘আজ একটা দেশের কাজ কইরা আইলাম ভাই।’
নাভিদ আজকের পত্রিকা থেকে মুখ না তুলেই বলল, ‘এতদিন কি বিদেশের কাজ করতিস নাকি?’
জুয়েল ভ্যাবাচাকা খেয়ে গেল। তার উল্লসিত মুখের ভুরু কুঁচকে গেল। মাঝে মধ্যে বস এমন পেঁচিয়ে কথা বলে না? ‘না...মানে...সবই দেশের কাজ...তয়...’
নাভিদ খসখস করে পত্রিকার পাতা উল্টিয়ে বলল, ‘মানুষজন যে বলে না, ওইটা আমার কাজের মেয়ে, এই আমার কাজের ছেলে... আমি কি বলতে চাইছি বুঝছিস তো... চাকর বাকরের কথা বলে... কাজের লোক। শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আরে ব্যাটা বুদ্ধু! আমরা কি সব অকাজের লোক নাকি? দুনিয়ার কোন মানুষটা কাজ করে না শুনি? তাই সে যে কাজই করুক না কেন? চুরি, ডাকাতি থেকে শুরু করে লেখালেখি সবই তো কাজ। তাহলে কাজের লোক, কাজের ছেলে, কাজের মেয়ে এসব আবার কি?’
জুয়েল ইতস্তত করে বলল, ‘তাহলে এদেরকে লোকে কি বলে ডাকবে?’
‘নাম ধরে ডাকবে? কর্মচারী পরিচয় দেবে? এদের এটাও তো একটা পেশারে ব্যাটা?’
‘বুঝছি। নতুন ভূত আপনার মাথায় ভর করেছে। খেয়ে দেয়ে কোনো কাজ পাচ্ছেন না তো, এজন্য ভূতে ধরেছে। ভূত তাড়ানোর ব্যবস্থা করেন। শুয়ে বসে থাকতে ভালো লাগছে না। এর চেয়ে আমার পুরোনো পেশা অনেক উত্তেজনাকর ছিল। প্রত্যেক দিন কাজ, প্রত্যেক দিন উত্তেজনা...’
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা