সন্ধান অবশেষে
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সাতাশ.
কড়ই গাছের নিচে দুটি সিমেন্টের বেঞ্চ। চারদিকে সুনসান নীরবতা। এলোমেলো বাতাস। আকাশে অনিবিড় মেঘ। চারদিকে কিশোরীর প্রাণখোলা হাসির মতো জোছনা। ঝিঁ ঝিঁ পোকারা অবিরাম ঝিঁ ঝিঁ করে চলেছে। এর মাঝে বেঞ্চে পা দুলিয়ে বসে আছেন আব্দুস শাকুর সাহেব। তার দুই ছেলে তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন।
বাবা, তোমার কী হয়েছে? আমাদের রেখে চলে এসেছ কেন? কোনো কিছুতেই আব্দুস শাকুর সাহেবের সাড়া নেই। তাদের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। মনে হচ্ছে কিছুই ঘটেনি। দুই ছেলে দুই হাত ধরে টান দিয়ে বললেন-চলো, আমাদের সাথে। আমরা গাড়ি নিয়ে এসেছি। তিনি মুখে কোনো কথা বললেন না। শুধু হু করে একটু কর্কশ শব্দ করলেন। মনে হচ্ছে বিরক্ত হচ্ছেন। অনেকটা জোড়াজুড়ি করেই নতুন জামা-কাপড় পরালেন। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসলেন। চারদিকে হইহই রইরই রব উঠে গেল। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তাকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করতে লাগল। তিনি কারও সাথে কোনো কথা বলেন না। যে মানুষটা স্বপ্নের কথা বলতেন। মানুষকে স্বপ্ন দেখাতেন। এখন তিনি স্বপ্নহীন। শূন্য দৃষ্টিতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। কাউকে চেনেন না। ছেলেরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন। ডাক্তার বললেন, তিনি ডিসোসিয়ে-টিভ অ্যামনেসিয়া রোগে ভুগছেন। অতীতের কোনো স্মৃতি তার মাথায় নেই। সব ভুলে গেছেন। জীবন কখন কোন দিকে বাঁক খায় বলা যায় না। এই ছোট্ট জীবন অনিশ্চয়তায় ভরা। (শেষ)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা