সন্ধান অবশেষে
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ছাব্বিশ.
আব্দুস শাকুর সাহেবের ছোট ছেলে ক্লাস শেষে টিচার্স রুমে বসে আছেন। চোখের সামনে কয়েকটা পত্রিকা রাখা। তিনি চোখ বুলাচ্ছেন। হঠাৎ তার চোখ আটকে গেল একটি ছবির ওপর। চাকমা আর তঞ্চঙ্গ্যা শিশু-কিশোর,তরুণ-তরুণীরা লাল লাল পোশাক পরে নদীর জলে ফুল ভাসাচ্ছে। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন বয়স্ক লোক। মুখে দাড়ি-গেঁাফের জঙ্গল। দৃষ্টি উদ্ভ্রান্ত। চোখে কোনো স্বপ্ন নেই। ছবিটা ঝাপসা। তার পরও ছবির মানুষটার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবই চেনা মনে হয়। বুকটা ধক করে উঠল। চোখে চশমা দিয়ে ভালো করে দেখলেন। হঁ্যা, সবই মিলে যাচ্ছে। এই মানুষটাই তো তাদের শতজনমের চেনা! ভেতরে মায়ার ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হলো। মনের ভেতর এক অচেনা ঝড় হড়োহুড়ি করতে লাগল। তার আরও দুটি ক্লাস ছিল। ছুট নিয়ে বাড়ি চলে এলেন। ছবিটি তার মাকে দেখালেন। বড় ভাইকে দেখালেন। সবাই মোটামুটি নিশ্চিত-এটাই তাদের হারিয়ে যাওয়া বাবা। বাড়িতে হইচই পড়ে গেল। আব্দুস শাকুর সাহেবকে পাওয়া গেছে। তার দুই ছেলে সাথে আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ছবির জায়গাটার উদ্দেশে রওনা দিলেন।
পেঁৗছতে পেঁৗছতে রাত হয়ে গেল। সেখানকার মানুষজনকে জিজ্ঞেস করতেই তারা চিনে ফেললেন। তারা তার অবস্থান জানিয়ে দিলেন। সেখানে তিনি ভদ্র পাগল নামে পরিচিত।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা