বিভার কী
- মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
- ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
জানো, বিভার দ্বিতীয় বৃহত্তম রোডেন্ট (তীক্ষè দন্তযুক্ত প্রাণী)। এরা নিশাচর এবং আধা জলজ রোডেন্ট। এরা জলবন্ধন (ড্যাম), খাল, পয়োনালী ও ছোট কক্ষবিশিষ্ট ঘর নির্মাণের জন্য বিখ্যাত। জলবন্ধন নির্মাণ করে পানি ধরে রাখে, যাতে শত্রু আক্রমণ করতে না পারে। আর বাসস্থান তৈরির উপাদান ভাসিয়ে আনার জন্য খাল খনন করে।
বিভারের পেছনের পা দুটো হাঁসের পায়ের মতো। অর্থাৎ এদের আঙুলের মাঝেও সংযোজক চামড়া রয়েছে। এ প্রাণীর চোখে পড়ার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বৈঠার মতো চ্যাপ্টা লেজ। এদের লেজ আঁইশযুক্ত। পুরো জীবনকাল ধরেই এদের দেহের বৃদ্ধি ঘটে। একটি পূর্ণবয়স্ক বিভারের ওজন ২৫ কেজি পর্যন্ত হয়। স্ত্রী বিভার আকারে পুরুষটির চেয়ে সামান্য বড় হয়; যা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে খুব কমই দেখা যায়। এরা এদের শক্তিশালী দাঁত ব্যবহার করে গাছ কাটে। একটি বড় আকারের গাছ এরা এক রাতের মধ্যেই কেটে ফেলতে পারে। এ গাছ দিয়ে এরা বসবাসের জন্য ঘর তৈরি করে। ঘর তৈরির ক্ষেত্রে এদেরকে দক্ষ নির্মাতাই বলা যায়।
ভয় পেলে অথবা বিপদ টের পেলে বিভার পানিতে ডুব দেয় এবং লেজ দিয়ে পানিতে জোরে আঘাত করতে থাকে। এ আঘাতের শব্দ অনেক দূর থেকে শোনা যায়। ফলে অন্য বিভাররা বিপদ সঙ্কেত পেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। স্থলে এদের চলাফেরা খুবই ধীর গতির। কিন্তু পানিতে এরা দক্ষ সাঁতারু। পানিতে ডুব দিয়ে এরা ১৫ মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারে।
বর্তমানে বিভারের দু’টি প্রজাতি জীবিত রয়েছে। একটি উত্তর আমেরিকায় এবং অপরটি ইউরোপ ও এশিয়ায় পাওয়া যায়। লোম ও ঘ্রাণগ্রন্থি সংগ্রহের জন্য এদেরকে শিকার করা হয়। ঘ্রাণগ্রন্থি ওষুধ ও সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
কানাডার পাঁচ সেন্ট মূল্যের মুদ্রায় বিভারের ছবি রয়েছে। ১৯৭৬ সালে মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে বিভারকে মাসকট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা