সন্ধান অবশেষে
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
বিশ.
খুব সামান্য কাজ করতে গিয়ে বোনের কাছে ধরা পড়ে যায়।
লজ্জায় পড়ে যায়। তখন তার মাথা কাজ করছিল না। মাতৃতুল্য বড় বোনকে খুন করে বসে। এই মামলার দায়িত্ব পেয়ে ভেবেছিলাম-বিষয়টা পানির মতো সহজ। মহিলার স্বামী বিদেশ থাকে। আমার ধারণা সম্পূর্ণ মিথ্যে প্রমাণিত হলো। তার মোবাইলের কল লিস্ট চেক করে যাদের সাথে সর্বশেষ কথা বলেছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলাম। কাউকেই সন্দেহ হলো না। শেষে এই মহিলার বাসায় আনাগোনা আছে এমন লোকদের তালিকা করলাম। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করলাম। কিছুতেই কোনো কিছু পাচ্ছি না। শেষে তার আপন ছোট ভাইকে ডাকলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সে গড়িমসি করে। আসতে চায় না। তখন তার প্রতি সন্দেহ বাড়তে থাকল। তাকে গ্রেফতার করলাম। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলাম। সে তার ডান হাত লুকিয়ে রাখে। অন্যমনস্কভাবে তার ডান হাতা টেবিলের ওপর রাখল। হাতে কামড়ের ঘা। মহিলার সুরতহাল রিপোর্টে ছিল সামনের দুটি দাঁত আংশিক ভাঙা। তখন তাকে সেই ঘা নিয়ে প্রশ্ন করলাম। সে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল। তাকে আবেগের ফাঁদে ফেললাম। সে অজর ধারায় কাঁদতে লাগল। কান্না জড়ানো কণ্ঠে তার শৈশব স্মৃতি আমাদের সামনে তুলে ধরতে লাগল। সে স্বীকার করল, তার বোনের সোনার গহনা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা