২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
নি ত্যো প ন্যা স

সন্ধান অবশেষে

-

ষোল.

কী করবেন! ভেবে পাচ্ছেন না। তিনি মনে প্রাণে চাচ্ছেন এ লাশ তার স্বামীর না হোক। একদিন আচমকা এসে তাকে সায়লা বলে ডাকুক। তার পরিচিত হাসিটা হাসুক। পুলিশ তাকে নানা প্রশ্নে জর্জরিত করছেন। নানা বিষয়ে জিজ্ঞেস করছেন। পুলিশের কাছে কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। সায়লা বানু স্বামী হারিয়ে পাগলপ্রায়। তার ওপর পুলিশের গা জ¦ালানো প্রশ্ন- তাকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলো।
অরুণ লালের দুঘরা বাড়ি পাহাড়ের ঢালে। এটা তাদের আদিবাড়ি। তার পূর্ব পুরুষরাও এখানে থেকে গেছেন। তিনিও থাকেন। প্রকৃতির সাথে তাদের নিবিড় মিতালি। প্রকৃতির ছোঁয়া ছাড়া তারা বাঁচে না। অরুণ লাল গারো। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতি সকল কিছুর উৎস। প্রকৃতি আমাদের বাড়ি। প্রকৃতি আমাদের স্কুল।’ এই পাহাড় ছেড়ে একটু দূরে গেলে তাদের অনেকটা বেসামাল অবস্থা হয়। তিনি কাঠুরিয়া। পূর্বপুরুষের পেশা ধরে রেখেছেন। যদিও এই পেশা এখন জৌলুস হারিয়েছে। তবুও তিনি ধরে রেখেছেন। তিনি একদিন হন্তদন্ত হয়ে আব্দুস শাকুর সাহেবের বাড়িতে এসে তার বড় ছেলেকে বললেন,‘আমার মনে হয় বড় মিয়া বেঁচে আছেন। আমি সে দিন নীল নহরের কাছে উনার কান্না শুনতে পেয়েছি।’ নীল নহর হলো মিষ্টি পানির ঝরনা। এই ঝরনার কাছে একটি পুরাতন মন্দির আছে। মন্দিরের প্রায় পুরোটাই বটগাছে ছাওয়া। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement