জাগহোয়া মানুষ
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
জাগহোয়া নারীরা ছোট ছোট সবজি বাগানে কাজ করে। এরা বন্যঘাস, বীজ, বেরি (ক্ষুদ্র রসালো ফলবিশেষ) ও অন্যান্য ফল সংগ্রহ করে...
জাগহোয়াদের কথা বলছি। এরা ছড়িয়ে আছে আফ্রিকার সুদান, চাদ ও নাইজারে। জাগহোয়ারা বেরি নামেও পরিচিত। এরা প্রধানত বাস করে সুদান-চাদ সীমান্তে।
উট ও গবাদিপশু পালন এবং কৃষিকাজ জাগহোয়াদের জীবিকা।
জাগহোয়া জনসংখ্যা ৪ লাখের বেশি ।
এ জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা আছে। এ ভাষার নামও জাগহোয়া।
জাগহোয়া জাতি নিজেদের পরিচয় দিতে পছন্দ করে বেরি নামে। এদের ‘জাগহোয়া’ নাম দিয়েছে প্রতিবেশী আরবরা। জাগহোয়া অর্থ ভেড়াপালক। এরা ভেড়া পালন করে। সম্ভবত এ কারণেই আরবরা এ নাম দিয়েছে। এরা জাগহোয়া নামেই বেশি পরিচিত।
জাগহোয়ারা একটি প্রাচীন জাতি। ৭ শতকে এদের একটি রাজ্য ছিল। এ সময় গোত্রপ্রধানরা রাজ্য শাসন করত। কঠিন সামাজিক শ্রেণী ও পারিবারিক গোত্রে জাতি বিভক্ত ছিল। যুগপরিক্রমায় এখন জাগহোয়া সামাজিক পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। গোত্রপ্রধানদের কর্তৃত্বও কমেছে। সুদান, চাদ ও নাইজারে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তা সত্ত্বেও জাগহোয়া উপজাতির বিভিন্ন গুচ্ছ এখনো নানা গোত্রে বিভক্ত।
এ জাতি অতিথিপরায়ণ। এরা ইসলামের আলোয় আলোকিত। তবে প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতিও এরা শ্রদ্ধাশীল। এদের ঐতিহ্যবাহী প্রথায় এখনো অনেক কুসংস্কার দেখা যায়। যেমন- এরা চোখ লাগায় বিশ্বাস করে। এটা থেকে রক্ষা পেতে এরা বিশেষ ধরনের বাড়ি তৈরি করে। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে শিশুদের বাইরে নিয়ে যায়।
জাগহোয়া নারীরা ছোট ছোট সবজি বাগানে কাজ করে। এরা বন্যঘাস, বীজ, বেরি (ক্ষুদ্র রসালো ফলবিশেষ) ও অন্যান্য ফল সংগ্রহ করে।
নারীদের ছোট ছোট দল অনেক সময় প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহের জন্য মাসব্যাপী সফরে বেরোয়। এ সময় এরা গাছের শাখা ও ঘাসের তৈরি ঘরে বাস করে। সংগ্রহ অভিযান শেষে বিভিন্ন শস্য এরা মাটির কলসিতে ভরে রাখে। এরা মধু, বিভিন্ন পাতা ইত্যাদিও সংগ্রহ করে।
জাগহোয়াদের আবাসভূমি তৃণভূমি ও মালভূমি নিয়ে গঠিত। আর এগুলোর পাশে রয়েছে গভীর খাত। মরুভূমি ঘিরে আছে উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম দিক। বৃষ্টিপাত অনেক সময় কম। তা সত্ত্বেও এখানে রয়েছে বেশ ঘন গাছপালা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা