১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
নি ত্যো প ন্যা স

সন্ধান অবশেষে

-

সাত.

সবাই ধরে নিল, এটাই আব্দুস শাকুর সাহেবের লাশ। শেষ আশাটুকুও শেষ হয়ে গেল।
থানায় খবর দেওয়া হলো। জিপ গাড়িতে করে পুলিশ আসল। পুলিশ খুনের মামলা নিল। লাশের সুরত হাল রিপোর্ট নিল। মর্গে নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হলো। ভিসেরা করা হলো। ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করা হলো। কয়েক দিনের মধ্যে রিপোর্ট এসে যাবে। মানুষের মাঝে হায় হায় রব। এত ভালো মানুষটাকে কে এভাবে নৃশংসভাবে খুন করল! হানিফ মন্ডল সাহেব এসে বললেন,‘খুন গোপন থাকে না । বেরিয়ে যায়। উনার কথা মানুষ শোনে। তিনি কোনোখানে দাঁড়ালে চারপাশে মানুষের জটলা হয়ে যায়। বিলের পাড়ে ছাতিম গাছের নিচে হানিফ মন্ডল দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি বললেন, ‘আমরা তখন খুব ছোট। আমার নানাবাড়িতে এক মেয়ে খুন হলো। মেয়ের বয়স ২২ কি ২৩। সদাহাস্য। উনি যা বলত, তা-ই শুনতে ভালো লাগত। এমন একটা মেয়েকেও তার স্বামী খুন করল। খুন করে বলল, ‘সে আত্মহত্যা করেছে।’
মেয়ের পরিবারের সবাই এটা মেনে নিল। কেননা তার স্বামী তাকে খুব ভালোবাসত। তাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারত না। তাদের মাঝে তেমন ঝগড়া-ঝাটিও ছিল না। কারও ধারণাতেও এটা ছিল না যে, তার স্বামী তাকে খুন করতে পারে। কিন্তু ভালোবাসার অপর পৃষ্ঠায়ই নিহিত থাকে ঘৃণা।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement