১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
নি ত্যো প ন্যা স

সন্ধান অবশেষে

-

ছয়.

পুরো গ্রামের মাঝে শোকের ছায়া ছড়িয়ে পড়ল। সাধারণ মানুষের মাঝে একটা হাহাকার। উনার মতো মানুষ খুন হতে পারে-এটা কেউ বিশ^াস করতে পারছে না। কেউ একজন বলল, ‘শত কাচের টুকরার মাঝে একটি হিরের টুকরা থাকলে মানুষ ওটাকে কাচ বলেই ভুল করে। এরকম ঘটনা জগৎ সংসারে বহু ঘটে। নইলে তার মতো মানুষ...।
আব্দুস শাকুর সাহেবের বড় ছেলে থানায় সাধারণ ডায়রি করলেন। পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে কল লিস্ট চেক করলেন। সর্বশেষ যাদের সাথে কথা হয়েছে তাদের সাথে কথা বললেন। কাউকেই সন্দেহভাজন বলে মনে হলো না। তার সাথে কোনো মোবাইল না থাকার কারণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্থান জানা গেল না।
দেখতে দেখতে মাস গড়িয়ে গেল। সবাই প্রায় আশা ছেড়ে দিল। তারপরও ছোট্ট একটু আশা ত্যানার মতো ঝুলে। হয়তো ফিরে আসবে বড় মিয়া। আবার আলো বিলাবেন চার পাশে। হঠাৎ একদিন মহুয়া বিলে মানুষের জটলা। মানুষ ভিড় করে দেখছে। বিলের পশ্চিম পাশে কোত্থেকে যেন এক লাশ ভেসে এসেছে। মাথা কাটা। অর্ধগলিত। হেলেঞ্চার জঙ্গলের ভেতর ভেসে আছে। লাশের পরনে গ্যাবার্ডিন কাপড়ের প্যান্ট পরা। বামহাতে পলিড্যাকটাইল। মানে ছয় আঙুল। গলায় জড়–ল। সবই আব্দুস শাকুর সাহেবের সাথে মিলে যাচ্ছে। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement