মুস হরিণ পরিবারের সবচেয়ে বড় সদস্য
- মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
- ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
জানো, মুস একটি বড় প্রাণী। এটি হরিণ পরিবারের সবচেয়ে বড় সদস্য। মুস নামটি উত্তর আমেরিকার অ্যালগনকুইন উপজাতির দেয়া, যার অর্থ ডালপালা খাদক। এদের প্রধান খাবার গাছের পাতা ও ডালপালা হওয়ার কারণেই এ নামকরণ। ইউরোপ ও এশিয়ায় এরা এল্ক নামে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Alces alces.
উত্তর আমেরিকায় এদেরকে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যায়। ইউরোপে পাওয়া যায় নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং বাল্টিক দেশগুলোয়। এদেরকে রাশিয়ায়ও দেখা যায়।
মুসের গায়ের রঙ সাধারণত বাদামি-কালো। এদের গড় উচ্চতা ছয় থেকে সাত ফুট। পুরুষ মুসের ওজন ৩৮০ থেকে ৭২০ কেজি এবং স্ত্রী মুসের ওজন ২৭০ থেকে ৩৬০ কেজি। এদের শিং সাধারণত তিন দশমিক নয় ফুট থেকে চার দশমিক নয় ফুট লম্বা হয়। মুসের শিং কোমল পুষ্টিসমৃদ্ধ ত্বক (ভেলভেট) দ্বারা আবৃত।
ভেলভেট সেপ্টেম্বরের কাছাকাছি সময়ে ঝরে যায়। ঝরে যাওয়া এ ভেলভেট ষাঁড় মুস খেয়ে থাকে। প্রজনন ঋতুর পর সেপ্টেম্বরে এদের শিংও ঝরে যায়। কিছু স্বল্পবয়স্ক মুসের শিং অবশ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকে থাকে। নতুন শিং এপ্রিলের কাছাকাছি সময়ে গজাতে শুরু করে।
মুসের খাদ্যাভ্যাস ঋতুভিত্তিক। শরৎ, শীত ও বসন্তে এরা আগের গ্রীষ্মে জন্মানো আসপান, পপলার, উইলো, বার্চ প্রভৃতি গাছের পাতা ও ডালপালা খায়। বসন্তের শেষে এবং গ্রীষ্মের কাছাকাছি সময়ে এরা ঝর্ণার পাশে জমে থাকা প্রাকৃতিক লবণ চেটে খায়। গ্রীষ্মকালে এরা জলজ উদ্ভিদ খেতে পছন্দ করে। মুস সাধারণত নিঃসঙ্গ প্রাণী, তবে মাঝে মাঝে দু’টি মুসকে একসাথে খাবার খুঁজতে দেখা যায়। পানিতে এরা সহজেই চলাচল করতে পারে। এরা সাঁতারেও বেশ পটু। স্বল্পদূরত্বে মুস প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৮ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মুসের প্রজনন ঋতু। স্ত্রী মুস আট মাস গর্ভধারণের পর একটি বাচ্চা প্রসব করে। কখনো দু’টি বা তিনটি বাচ্চাও প্রসব করে থাকে। মুসের জীবনকাল গড়ে পাঁচ থেকে ছয় বছর, যদিও কিছু মুস ২০ বছর পর্যন্তও বেঁচে থাকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা