সন্ধান অবশেষে
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পাঁচ
তিনি পরোপকারকে নিজের দায়িত্ব ভেবেই করতেন।
বিমর্ষ ঘোড়া ফিরে এল সওয়ার ছাড়া। ঘোড়াটা কী যেন বলতে চায়। বলতে পারে না। মনের ভেতর একটা চাপা কষ্ট। ছটফট করছে। এদিকে সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ। কোথায় যেতে পারে? কোথাও গেলে তো ঘোড়া নিয়েই যেতেন। মানুষের মাঝে নানা জল্পনা কল্পনা। পাশের বাড়ির এক মুরুব্বি, হানিফ মন্ডল এসে বললেন, ‘তোমরা অধৈর্য হয়ো না। বিপদের সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হয়। আমরা অনেক সময় যা ধারণা করি, আসল ব্যাপার তা হয় না। কিছু দিন আগে পশ্চিম পাড়ার নিজামের বোনের সোনার হার হারিয়ে গিয়েছিল। সবাই ধারণা করল, ‘তাদের বছরে কামলা নীলয় চুরি করেছে।’ কেউ কেউ নীলয়কে থাপ্পড়ও মারল। কিন্তু নীলয়ের কথা কেউ শুনছে না। নীলয়ের অবস্থা দেখে মনে হলো সে চুরি করেনি। আমি বললাম, তোমরা ভালো করে খুঁজে দেখ। নীলয় চুরি করেনি। পরের দিন নিজামের বাবা হার খুঁজে পেলেন গোবরের ভেতর। তাদের গাভিটা খড়ের সাথে হার খেয়ে ফেলেছিল। এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে তা কারো মাথাতেই ছিল না। তাই আমাদের অনুমান অধিকাংশ সময়ই মিথ্যা হয়। আমাদের অনুমান থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
দিন যায়। উৎকণ্ঠা বাড়ে। আব্দুস শাকুর সাহেব ফিরে আসেন না। তার পরিবারের মাঝে কান্নাকাটির রোল পড়ে গেল। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা