গাওশান মানুষ
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
গাওশান মানুষের কথা জানো কি?। এরা কোন দেশের বিখ্যাত জাতি? চীন দেশের । এদের বেশিরভাগ বাস করে তাইওয়ান দ্বীপে, বাকিদের বসবাস ফুজিয়ান ও ঝেজিয়াং প্রদেশে।
গাওশান মোট জনসংখ্যা ৪ লাখের বেশি ।
গাওশানরা কথা বলে গাওশান ভাষায়। এটি একটি মৌখিক ভাষা; লিখিত রূপ নেই। ভাষাটি ইন্দোনেশিয়ান বা মালয়েশিয়ান ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। গাওশানদের অনেকে মিন ভাষায়ও কথা বলতে পারে।
আত্মার শক্তিতে গাওশানদের বিশ্বাস রয়েছে। এরা পূর্বপুরুষের আরাধনা করে এবং টোটেমে (পশুপাখির সাথে মানুষের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক) আস্থা রাখে। গাওশান সমাজে ব্যাপকভাবে জাদু চর্চা করা হয়।
হস্তশিল্পে গাওশানদের খ্যাতি রয়েছে। বাঁশের পাতলা ফালি দিয়ে শৈল্পিকভাবে এরা বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে। কাঠ খোদাই, মৃৎশিল্প, সূচিকর্ম ইত্যাদিতেও এরা দক্ষ। এসবের সার্বিক ব্যবহারে এরা নকশাদার পাত্র, নল, পিপা, ছাঁইচ, মাছধরা নৌকা, পোশাক ইত্যাদি আরো সুন্দর করে তৈরি করে।
গাওশানরা বর্ণিল, উজ্জ্বল এবং নকশি পোশাক পছন্দ করে। এরা ফুলের মুকুট, কানের দুল, চুড়ি এবং পাগড়ি পরে। পোশাকে মুক্তার ব্যবহার গাওশান সমাজে গৌরবময়। প্রাচীনকালে এটি সম্পদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
গাওশানরা দিনে দুই থেকে তিনবার খাবার খায়। ভাত, জনারি ও কচু এদের প্রধান খাদ্য। এরা ফোটানো পানি বা চা পান করে না। ঠা-া পানিতে আদা বা মরিচ মিশিয়ে পান করতে এরা বড় ভালোবাসে। এরা হলুদ মদ চোলাই করে। এদের অনেকের পান খাওয়ার অভ্যাস আছে।
গাওশানরা ফসল তোলা উৎসব পালন করে। এটি এদের প্রধান উৎসব। এ উৎসবে এরা বিভিন্ন খাবার তৈরি করে এবং বিনোদনের আয়োজন করে। গাওশানরা সঙ্গীত ও নাচ পছন্দ করে। উৎসবে এরা একত্রিত হয়, বাঁশি বাজায় এবং চুল-নাচ ও হাতে হাত-নাচ প্রদর্শন করে।
গাওশানরা বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলে। ফসল তোলার ঋতুতে বাইরের লোকদের সাথে যোগাযোগ কিংবা অন্যের মাঠে পদক্ষেপ নিষিদ্ধ। শিকারের সময় এরা ভাং স্পর্শ করে না। কারণ, এতে হারিয়ে যাওয়ার বা আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নারীরা বন্দুক বা যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে না এবং পুরুষরা নারীর তাঁত ব্যবহার করে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা