পতঙ্গভুক পাখি ভার্ডিন
- মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
- ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বলছি ভার্ডিনের কথা। এটি এক ধরনের টিটজাতীয় গায়ক পাখি। এ গায়ক পাখির বৈজ্ঞানিক নাম অঁৎরঢ়ধৎঁং. এদেরকে দক্ষিণ-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যায়। আকারে খুবই ছোট। দেহের দৈর্ঘ্য চার দশমিক পাঁচ ইঞ্চি। গায়ের রঙ সামগ্রিকভাবে ধূসর। তবে বয়স্ক পাখির মাথা উজ্জ্বল হলদে রঙের হয়। ঢিটজাতীয় পাখি হলেও এদের ঠোঁটের গঠন টিটের মতো নয়। এদের ঠোঁট বেশ চোখা। এরা সাধারণত একাকী চলাফেরা করে। তবে প্রজনন ঋতুতে দলবেঁধে চলাচল করে।
ভার্ডিন পতঙ্গভুক পাখি। বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গ ধরে খায়। তবে মাকড়সা খেতে পছন্দ করে। মরুভূমির গাছ ও ছোট গুল্মজাতীয় ঝোপে এরা খাবারের সন্ধান করে। মরুভূমির গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ বিশেষ করে যেখানে কাঁটাযুক্ত উদ্ভিদ জন্মায় সেখানেই ভার্ডিন বসবাস করে।
ভার্ডিন খুব যতœ করে বাসা তৈরি করে। কারণ এরা শুধু প্রজননের জন্যই বাসা তৈরি করে না, বাসায় এরা বিশ্রামও নেয়। বাসা তৈরির কাজ স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ভাগাভাগি করে নেয়। পুরুষ ভার্ডিন বাসার বাইরের অংশ তৈরি করে। ভেতরের আবরণ স্ত্রী পাখিটি তৈরি করে। এরা বিশ্রামের জন্য আলাদা বাসা নির্মাণ করে। শীতকালীন বিশ্রামের জন্য এরা পুরু বাসা তৈরি করে, যাতে ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে পারে। এ পুরু বাসা তৈরির মাধ্যমে এরা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য শক্তির খরচ ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনে। বছরজুড়েই এরা বিশ্রামের জন্য বাসা তৈরি করে। অ্যারিজোনায় এক জোড়া ভার্ডিনকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এরা এক বছরে ১১টি বাসা তৈরি করেছে। মরুভূমির প্রচণ্ড তাপদাহের সময় এরা গুল্মজাতীয় উদ্ভিদের ছায়ায় আশ্রয় নেয়। এ সময় এরা জোরে জোরে হাঁপাতে থাকে এবং ডানা ছড়িয়ে বসে থাকে।
প্রজনন ঋতুতে স্ত্রী ভার্ডিন তিন থেকে ছয়টি ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ হালকা সবুজ। সবুজের ওপর লালচে ফোঁটা দাগ থাকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা