দেবতাখুমের রহস্য
- সোনিয়া হুসাইন
- ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ছত্রিশ.
গুম হওয়া যুবকেরা ওই অজগরের পেটে। আমিও তা হলে তাদেরই সহযাত্রী হতে চলছিলাম।
আবিদ বলে, হু, বাধ সাধলো লীনা। তা না হলে তোকেও পাহাড়ি যুবকদের মতো গুম হয়ে যেতে হতো। আর আমি হয়ে যেতাম ফিরে যাওয়া অস্বাভাবিক আচরণের কেউ।
আবিদ আবার বলে, আমাদেরকে এখানে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
লীনা বলে, কেন?
আবিদ বলে, বন বিভাগকে খবর দিতে হবে। যে করেই হোক অজগরটি ধরতে হবে। তাকে পাঠিয়ে দিতে হবে চিড়িয়াখানায়। তা নাহলে এই পাহাড়ে একের পর এক গুমের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। হারিয়ে যাবে এক এককটি পাহাড়ি যুবক। মানুষের স্বাদ পেয়েছে অজগরটি। এখন মানুষ ছাড়া ওর পেট আর কিছুতে ভরবে না। ভাঙা মন্দিরে কোনো নিরাপদ ফাঁকা স্থান বেছে নিয়ে আগুন জ্বালালো তিন বন্ধু। এখানে বসেই রাতের বাকি অংশটা সময় পার করতে হবে।
সকালে ট্রিপল নাইন চেপে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পকে জানানো হলো অজগরের বিষয়টি। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই চলে এলো বিজিবি ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা। অজগরটির অনুসন্ধানে নেমে গেল তারা।
তিন বন্ধু অজগর সন্ধানীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরে আসে বনবাসের গেস্ট হাউজে। আজ সকালেই আবিদ ও কমল রওনা দিবে ঢাকার পথে।
দুই বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে লীনা তার বাড়ি চলে গেল। (শেষ)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা