২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বিজ্ঞানী আল-বাত্তানি

বিজ্ঞানী আল-বাত্তানি -

আল-বাত্তানি। পুরো নাম মুহাম্মদ ইবনে জাবির আল-হারানি আল-সাবি আল-বাত্তানি। মুসলিম জগতের সোনালি দিনের এক জোতির্বিজ্ঞানী। সুপ-িত হিসেবেও সুধীমহলে তিনি সমাদৃত। সহজ সুন্দর আর নবতর নিয়ম অনুসারে অমাবস্যার সঠিক গণনা প্রচলনকারী হিসেবে জ্যোতির্বিজ্ঞান জগতে তিনি সুপরিচিত। তিনি শুধু বিজ্ঞানীই নন, রাজনীতিক-প্রশাসক হিসেবেও তার সুনাম আছে।
আব্বাসীর শাসনের যুগে অতি তরুণ বয়সে তিনি সিরিয়ার রাজ্যপাল (গভর্নর) নিযুক্ত হন। রাজকাজে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি বিজ্ঞান সাধনায়ও তিনি নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ত্রিকোণমিতিতে দারুণ উদ্ভাবনীর স্বাক্ষর রাখেন তিনি। সেই সময়ের আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের (আরব সাম্রাজ্য) প্রদেশ সিরিয়ার রাজধানী অ্যান্টিয়ক (বর্তমান নাম আন্তাকিয়া, যা তুরস্কের অংশ) ও আক্কা (বর্তমান নাম অ্যাকর, য্ াইসরাইলের অংশ) থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ চালান এই জ্ঞানপিয়াসী। অক্ষরমালাকে সংখ্যার প্রতীক হিসেবে ব্যবহারমূলক একটি ‘জিজ’ তালিকা তৈরি করার কৃতিত্ব দেখান তিনি। ইউরোপীয় প-িতেরা এটি অনুবাদ করে তিন খ-ে প্রকাশ করেন।
আল-বাত্তানির জ্যোতির্বিজ্ঞান তালিকা, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র প্রভৃতির গতিপ্রকৃতি, গ্রহণ ও সৌরজগৎ সম্পর্কে তার সঠিক তথ্য অভিনব। জ্যোতির্বিজ্ঞানে তার আগের বৈজ্ঞানিকদের অনেক ভুল সংশোধনে তিনি কৃতিত্ব দেখান। তিনি তার উদ্ভাবিত যন্ত্র দিয়ে প্রমাণ করেন সূর্য স্থির নিশ্চল স্থবির বলে টলেমির দীর্ঘ দিনের মতবাদটি সত্য নয়। সূর্য তার নিজস্ব কক্ষে গতিশীল। আল-বাত্তানি যান্ত্রিক পর্যবেক্ষণের সাহায্যে প্রমাণ করেন- টলেমির সময় থেকে তার সময় পর্যন্ত সূর্যের তুঙ্গত্ব ১৬ দশমিক ৪৭ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মানে সূর্য স্থির নয় নিশ্চল নয়, এবং তার নিজস্ব কক্ষে গতিশীল।
টলেমির আরো ক’টি মতবাদ বাত্তানি ভুল প্রমাণ করেন। এগুলোর মধ্যে সূর্যের আপাত কৌণিক ব্যাসরেখা পরিবর্তনের কথা বলা যায়।
বাত্তানির আগে ত্রিকোণমিতি ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাহায্যকারী পরনির্ভরশীল বিষয়। তিনিই প্রথম ত্রিকোণমিতির সম্পূর্ণ স্বাধীন স্বরূপ আলোচনায় এগিয়ে আসেন। এটি যে একটি স্বয়ং স্বাধীন বিজ্ঞান তা তিনিই প্রথম প্রমাণ করেন। সাইন, কোসাইন, ট্যানজেন্ট, কো-ট্যানজেন্ট প্রভৃতি ত্রিকোণমিতির সহজ সুন্দর সাঙ্কেতিক নিয়ম ব্যবহার উপযোগী বৈশিষ্ট্যময় করে ফুটিয়ে তোলেন তিনি। সাইন, কোসাইনের সাথে ট্যানজেন্টের সম্পর্কের বিষয়টির তিনিই আবিষ্কারক। ত্রিভুজের বাহুর সাথে কোণের ত্রিকোণমিতির সম্পর্কও তারই আবিষ্কার। তিনি বেশ ক’টি বইয়ের রচয়িতা। তার বই ল্যাটিন ও স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ করে পশ্চিমা পণ্ডিতরা জ্ঞান আহরণ করেন। ৮৫৮ সালে আল-বাত্তানির জন্ম হারানে, যা উচ্চ মেসোপটেমিয়ার একটি প্রধান শহর ছিল। বর্তমানে এটি তুরস্কের অন্তর্ভুক্ত। এই মুসলিম মনীষী ৯২৯ সালে বর্তমান ইরাকের কাসর আল-জিসে ইন্তেকাল করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
কপ-২৯ সম্মেলনে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও এলডিসি’র ‘ওয়াকআউট’ আলোচনায় 'না' ভোট এবং 'ভোট রিকল' হাসানের জোড়া উইকেটের পরও ৩০০ পার করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের বিতর্কিত করে অভ্যুত্থান ব্যর্থ প্রমাণের অপচেষ্টা চলছে : উপদেষ্টা নাহিদ ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম তালুকদার গ্রেফতার ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের দাবির যৌক্তিকতা রয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের ইস্যু তুলেও ঝাড়খণ্ডে জিততে পারেনি বিজেপি ‘নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজি চলবে না’ বাঘায় কৃষকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

সকল