ইয়ামড্রোক য়ুমসো হ্রদ
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
‘ইয়ামড্রোক য়ুমসো’ একটি দারুণ হ্রদ। এর সৌন্দর্য বর্ণনা করা অসম্ভব। জানো, হ্রদটির উপরে অবারিত নীলাকাশ, নিচে স্বচ্ছ জলরাশি, তটরেখাকে ঘিরে আছে তুষারঢাকা উচ্চ পর্বতমালা- যেন এক স্বপ্নের জগৎ।
তিব্বতের ইয়ারলং সাংপো নদীর দক্ষিণে শানন্যান অঞ্চলে হ্রদটির অবস্থান। হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির হ্রদ এটি; তিব্বতের তিনটি বড় হ্রদের একটি।
ইয়ামড্রোক য়ুমসো হ্রদের আরো কয়েকটি সুন্দর ও উজ্জ্বল নাম আছে, যেমন- প্রবাল হ্রদ, সবুজ জেড হ্রদ। হ্রদটির অসম গঠনের জন্য একে প্রবাল হ্রদ বলা হয়। অসংখ্য ঝরনাধারা কাছের পর্বতমালা থেকে এঁকেবেঁকে নেমে এসেছে হ্রদে। এ জন্যও হ্রদটি দেখতে অনেকটা প্রবালের মতো হয়েছে। হ্রদের বিশুদ্ধ পরিষ্কার পানির উপরিভাগ যেন সবুজ জেড পাথরের মতো মসৃণ। এ কারণেই এর অন্য নাম সবুজ জেড হ্রদ। সূর্যালোকের নিচে জলরাশিকে মনে হয় উজ্জ্বল আয়না। বিভিন্ন গভীরতায় এ সূর্যালোক প্রতিফলিত হয়ে রাজকীয় রহস্যময় আলোকছটার রূপ নেয়।
কাছের উচ্চ পর্বত থেকে দূর দিগন্তে তাকিয়ে ইয়ামড্রোক য়ুমসোকে মনে হতে পারে পবিত্র এক নীলকান্ত মণি, যাকে পর্বতমালার মাঝে বসিয়ে দেয়া হয়েছে।
হ্রদের জলে ভেসে আছে কয়েকটি দ্বীপ। এক একটি দ্বীপ যেন কোনো অচিনপুরের ললনার মায়াবী টিপ। দ্বীপগুলোয় রয়েছে ঘাসের জঙ্গল আর বন্যপাখির আনাগোনা। পাখির কাকলি শান্ত হ্রদের নীরবতাকে ভেঙে দিলেও প্রকৃতিকে করেছে আরো মোহিনী।
কথিত আছে, ইয়ামড্রোক য়ুমসো হ্রদ তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের নারী-মুরুব্বি। অনেকে বিশ্বাস করে, এটি তাদেরকে আশীর্বাদ ও রক্ষা করবে। এ মতের অনেক ভক্ত অনুসারী প্রতি বছর তিব্বত ও অন্যান্য স্থান থেকে এখানে তীর্থে আসে। অনেকে আসে পায়ে হেঁটে, যারা তিন পদক্ষেপে একটি করে সাষ্টাঙ্গপাত করে; এমনকি, শত শত কিলোমিটার দূর থেকে এলেও। এসব ভক্ত হ্রদটির জন্য নিয়ে আসে রহস্যের মায়াজাল এবং মর্যাদা। ইয়ামড্রোক য়ুমসো হ্রদের আয়তন প্রায় ৬৩৮ বর্গকিলোমিটার। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৭০ কিলোমিটার। সমুদ্র সমতল থেকে হ্রদের পানির উপরিভাগের উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৪৪১ মিটার। গড় গভীরতা স্থানভেদে প্রায় ২০-৪০ মিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় ৬০ মিটার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা