মাহমুদ আল-কাশগড়ি
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
তোমরা নিশ্চয় ‘মাহমুদ আল-কাশগড়ি’র নাম জানো । তার পুরো নাম কী? মাহমুদ ইবনে হুসাইন ইবনে মুহাম্মদ আল-কাশগড়ি। তিনি ছিলেন ১১ শতকের বৃহত্তর তুর্কি (Turkic) পন্ডিত ও অভিধানকার। ১০০৫ সালে তিনি কাশগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। এ সময় কাশগড় ছিল কারা খানীয় খানেইটের (রাজ্যের) অংশ। এ রাজ্য ছিল বৃহত্তর তুর্কি জাতির বিভিন্ন অংশের একটি মিত্রসঙ্ঘ (কনফেডারেশন) এবং এটি টিকে ছিল ৮৪০ থেকে ১২১২ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে কাশগড় চীনের জিনজিয়াংয়ের (পূর্ব তুর্কিস্তান) অংশ।
মাহমুদ আল-কাশগড়ি বৃহত্তর তুর্কিদের (Turkic) ভাষা, ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করেন। তিনি তুর্কি ভাষার উপভাষাগুলো অধ্যয়ন করেন এবং ১০৭২ সালে রচনা করেন বৃহত্তর তুর্কি ভাষাগুলোর অভিধান, যার নাম দিওয়ান ই-লুগাত আল তুর্ক। এটি প্রণয়ন করা হয় তুর্কিদের নতুন মিত্র বাগদাদের আরব খলিফাদের উদ্দেশে। মাহমুদ আল-কাশগড়ির সর্বাত্মক অভিধানে নমুনা হিসেবে প্রাচীন তুর্কি কবিতা স্থান পায়, যা চার লাইনবিশিষ্ট। তার বইয়ে বৃহত্তর তুর্কি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকার মানচিত্রও স্থান পায়।
মাহমুদ আল-কাশগড়ির বাবা বার্সগানের মেয়র ছিলেন এবং কারা খানীয় শাসক বংশের সাথে ছিলেন সম্পর্কযুক্ত। বার্সগানের বর্তমান নাম বার্সকুন এবং বর্তমানে এটি কিরগিজস্তানের অংশ। এই পণ্ডিতের মা বিবি রাবিয়া আল বাসরি ছিলেন আরব বংশো™ভূত।
আল-কাশগড়ির মৃত্যু হয় ১১০২ সালে উপালে, যার অবস্থান কাশগড়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা