১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অ্যাথাবাস্কা হ্রদ

অ্যাথাবাস্কা হ্রদ -

‘অ্যাথাবাস্কা’ কানাডার অষ্টম বৃহত্তম হ্রদ। আলবার্টা ও স্যাসকাচিওয়ানের মাঝে এর অবস্থান। আয়তন ও গভীরতায় এটি ওই দুই প্রদেশের বৃহত্তম হ্রদ।
হ্রদটির পশ্চিম উপকূলে রয়েছে চিপিউয়ান দুর্গ। এটি আলবার্টার সবচেয়ে পুরনো ইউরোপিয়ান বসতি। এখান থেকে সেøভ নদী উড বাফেলো জাতীয় পার্কের পুব সীমানা বরাবর উত্তর দিকের গতিপথে যাত্রা শুরু করেছে।
অ্যাথাবাস্কা হ্রদ কানাডার বাণিজ্যিক মাছের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এখানে রয়েছে ২৩ প্রজাতির মাছ। ১৯৬১ সালে এ হ্রদ থেকে ৪৬.৩ কিলোগ্রাম ওজনের একটি লেক ট্রাউট (মিঠা পানির মাছবিশেষ) ধরা হয়েছিল, যা বিশ্ব রেকর্ড।
অ্যাথাবাস্কা হ্রদের উত্তর উপকূলে রয়েছে ইউরেনিয়াম নগরী। এটি সাসকাচিওয়ানে অবস্থিত। একসময় হ্রদের উত্তর উপকূল বরাবর খনি থেকে ইউরেনিয়াম ও স্বর্ণ উত্তোলন করার জন্য অনেক খনিকর্মী আসে এখানে। এ খনিকর্মীদের আবাসন সুবিধা দেয়ার জন্যই গড়ে তোলা হয় ইউরেনিয়াম নগরী। গত শতকের (২০ শতক) আশির দশকে শেষ খনিটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। খনিজদ্রব্য উত্তোলন কাজ পরিচালনার ফলে এ সময় হ্রদের উত্তর উপকূল মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছিল।
অ্যাথাবাস্কা হ্রদের দক্ষিণ তীর সংলগ্ন বিশাল বালু-সমুদ্র (স্যান্ড ডিউনস) রয়েছে। এর নাম দ্য লেক অ্যাথাবাস্কা স্যান্ড ডিউনস। ৫৮ ডিগ্রির উত্তরে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বালু-সমুদ্র। ১৯৯২ সালে একে ‘প্রাদেশিক তেপান্তর উদ্যান’ আখ্যা দেয়া হয়। খনিজদ্রব্য উত্তোলক কোম্পানিগুলোর বিরোধিতার মুখে সরকারের আমলাতন্ত্রের সাথে দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে এটি সম্ভব হয়েছিল।
অ্যাথাবাস্কার আয়তন ৮ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার। এর গড় গভীরতা ২০ মিটার। আর সর্বোচ্চ গভীরতা ১২৪ মিটার। হ্রদটির দৈর্ঘ্য ৩২০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ অঞ্চল ভেদে ৮-৫৬ কিলোমিটার। অ্যাথাবাস্কা হ্রদের পানির প্রধান উৎস অ্যাথাবাস্কা নদী এবং পানিনির্গমন পথ সেøভ ও ম্যাকেঞ্জি নদীর বিভিন্ন গতিপথ।


আরো সংবাদ



premium cement