আরব বিজ্ঞানী আবুল মাশার
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বিশ্ব সভ্যতায় অবদান রাখার জন্য এখনো আবুল মাশার স্মরণীয় ও বরণীয়। জানো তো,তিনি ইসলামি সোনালি যুগের বিখ্যাত বিজ্ঞানী! অনেকে তাকে বিজ্ঞানের জাদুকর বলে সম্মান করেন।
আবুল মাশার প্রথম জীবনে ছিলেন ধর্মশাস্ত্রের পর্যালোচক। এরপর তিনি হাদিস শরিফের টীকা লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। ৪৭ বছর বয়সে তিনি বিজ্ঞানসাধনায় এগিয়ে আসেন। খ্যাতিমান বিজ্ঞানী আল-কিন্দির প্রেরণাই তার বিজ্ঞান সাধনার প্রেরণা। তিনি ছিলেন আল-কিন্দির শিষ্য।
জ্যোতির্বিজ্ঞানসাধনায় আবুল মাশারের কৃতিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবের সাথে মানুষের ভাগ্যের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাপারে তিনি অঙ্কশাস্ত্রকে সুনিপুণভাবে ব্যবহারে কৃতিত্ব দেখান। ‘জিজ আবি মাশার’ তার লিখিত বিখ্যাত বই। এ বইয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানে তার সাধনার কৃতিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। বর্তমান বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অসাধারণ যান্ত্রিক উন্নতির সময়েও দেখা যায় আবুল মাশারের জিজের (তালিকা) মৌলিক তথ্যাদির বিবরণ প্রায় নির্ভুল। ‘জিজ’-এ জ্যোতির্বিজ্ঞান আলোচনাকালে তিনি ত্রিকোণমিতিরও আলোচনা করেন। আবুল মাশার অনেক বই লেখেছেন। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি বই এখনো টিকে আছে। তার বই ‘কিতাবুল মদখল আল কবির’ বা ‘কিতাবুল মদখবুল ইলা ইলম আহকাম আন-নজুম’ (জ্যোতিষ উপক্রমিকার বড় বই)-এর কথা উল্লেখ করা যায়। বইটি জোহানেস দ্য-লুনা ও হারমানাগ ল্যাটিনে অনুবাদ করেন, যার পাণ্ডুলিপি অক্সফোর্ডে সংরক্ষিত আছে।
আব্বাসীয় রাজবংশের গৌরবময় যুগে ৭৮৬ সালে আরব বিজ্ঞানী আবুল মাশারের জন্ম। তিনি ৮৮৬ সালে ইন্তেকাল করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা