২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

দেবতাখুমের রহস্য

-

পঁচিশ.

কমল বলে, সেটাই তো নিয়ম। কাউকে জানিয়ে তো আর এক্সপিডিশনে যাওয়া যায় না।
কমল তার ল্যাপটপ থেকে চোখ তুলে দুই বন্ধুর দিকে তাকায়। ওই লোক দুটোর ইমেইল হ্যাক করার পর এমন কিছু তথ্য পেয়েছি, যা তোদের অবাক করে দিবে। ওদের ইমেইলে কিছু সাঙ্কেতিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই দেখ চিহ্নগুলো।
আবিদ ও লীনা কমলের ল্যাপটপের ওপর ঝুঁঁকে পড়ে। অস্বাভাবিক রকমের জটিল কয়েকটি প্রতীক। লীনা তার হাতের তালুতে প্রতীকগুলো এঁকে নিতে চেষ্টা করে। হচ্ছে না। তবে কিছুটা অনুমান করা যায়। প্রতীকের একটি দেখতে সিংহের ছবির মতো। অন্যটি অষ্টভূজ হীরকখণ্ডের মতো, যার মাঝখানে একটি চোখ। আরেকটি প্রতীক দু’মুখো এক মৎস্যের ন্যায়। তিনটি প্রতীকই লীনা তার হাতের তালুতে এঁকে নিচ্ছে। দেখতে হুবহু না হলেও বুঝ যায় কোনটা কী ধরনের প্রতীক।
রাত ১০টা। তিন বন্ধু চুপি চুপি গেস্ট হাউজের পেছনে চলে যায়। পেছনটা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা। বেড়ার ওপাশে খাদ ও ঘন জঙ্গল। ওরা বাঁশের বেড়ার নিচের অংশের বাঁধন খানিকটা আলগা করে। এরপর প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে রিসোর্ট থেকে বের হয়।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement