২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

থাইল্যান্ডের প্রথম জাতীয় উদ্যান

থাইল্যান্ডের প্রথম জাতীয় উদ্যান -

থাইল্যান্ডের প্রথম জাতীয় উদ্যানের নাম কী? ‘খাও য়াই জাতীয় উদ্যান’। এটি একটি সংরক্ষিত এলাকা। প্রাকৃতিক এ উদ্যানের বেশিরভাগ নাখন রাতচাসিমা প্রদেশে অবস্থিত। সারাবুরি, প্রাচিনবুরি এবং নাখন নায়োক প্রদেশেও উদ্যানটির কিছু অংশ রয়েছে।
উদ্যানটি বিশাল। আয়তন প্রায় ২ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার। চিরহরিৎ বন, তৃণভূমি আর জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এ ছাড়া রয়েছে পাহাড়-পর্বত এবং জলপ্রপাত। এ উদ্যান প্রতিষ্ঠিত করা হয় ১৯৬২ সালে। বুনসং লেকাকুল নামে এক ব্যক্তি উদ্যানটির প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন ২০ শতকের থাইল্যান্ডের সবচেয়ে খ্যাতিমান সংরক্ষণবিদদের একজন।
উদ্যানটি থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম। সাগর সমতল থেকে এর উচ্চতা ৪০০-১০০০ মিটার। এখানে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ৩২০ প্রজাতির পাখি এবং এশিয়ান কালো ভালুক, এশিয়ান হাতি, বন্যষাঁড়, বাঘ, গিবন (দীর্ঘ-বাহু বানরবিশেষ), ইন্ডিয়ান সম্বর হরিণ, ইন্ডিয়ান মান্টজ্যাক (নিশাচর হরিণ), বন্যকুকুর ও বন্যশূকরসহ ৬৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী।
উদ্যানে রয়েছে কয়েকটি জলপ্রপাত। এগুলোর মধ্যে ৮০ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট হিও নারোক, হায়েও সুয়াত ও নামতোক সারিকা বিখ্যাত।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, উদ্যানের কেন্দ্রীয় এলাকার কাছে মানুষের বিভিন্ন কার্যক্রমে বন্য পশু-পাখির অবাধ বিচরণের ওপর প্রভাব পড়েছে। তবে বাঘের ওপর এ প্রভাবটা বেশি। তা সত্ত্বেও থাই সরকার উদ্যানের ভেতরে ব্যক্তিগত ভাড়াকৃত কক্ষের (প্রাইভেট লজিং) ব্যাপারে ছাড় দিচ্ছে, যা বন্য পশু-পাখির অবাধ বিচরণের জন্য হুমকি। ইসান ও ব্যাংকক এবং অন্যান্য এলাকা থেকে ভ্রমণকারীরা প্রায়ই এ উদ্যানে আসে। আনন্দ-বিনোদন বা শরীরচর্চার জন্য অনেকে আসে, কেউবা বের হয় দীর্ঘ পথযাত্রায়। কেউ বা দুর্গম পথে এগিয়ে যায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি। ১৯৮৪ সালে এ উদ্যান এশিয়ান ঐতিহ্য উদ্যানে পরিণত হয়। ২০০৫ সালের জুলাইয়ে দং ফায়া য়েন পর্বতমালার অন্যান্য উদ্যানের সাথে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের তালিকাভুক্ত হয়। আর এ ঐতিহ্য স্থানের নামকরণ করা হয় দং ফায়া য়েন- খাও য়াই ফরেস্ট কমপ্লেক্স।
উদ্যানসংলগ্ন ভূমির দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে- ব্যাংককের দর্শনার্থীদের সাপ্তাহিক ছুটি কাটানোর জন্য নির্মিত হয়েছে বিলাসবহুল হোটেল এবং গলফ কোর্স। এর ফলে বন্য পশু-পাখির বিচরণক্ষেত্র সীমিত হয়ে পড়ছে এবং স্থায়ীভাবে সঙ্কুচিত হচ্ছে ভবিষ্যতের সংরক্ষণ ও ভূমি অধিগ্রহণ। রাতে বিশেষ স্থানে বন্য পশু-পাখি দেখা যায়। সন্ধ্যায় পিকআপ ট্রাকে ভ্রমণ করলেও কিছু বন্য পশুর দেখা মেলে। সাধারণত হরিণ, গন্ধগোকুল এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাতি দেখা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement