নাসের হ্রদ
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
জানো, নাসের হ্রদের অবস্থান দক্ষিণ মিসর ও উত্তর সুদানে।
আরব বিশ্বের খ্যাতিমান নেতা এবং মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসেরের সম্মানে হ্রদটির নামকরণ করা হয়েছে।
নাসের হ্রদ আসলে একটি বিশাল জলাধার। ১৯৫৮ ও ১৯৭০ সালের মাঝে নীল নদের উপর আসোয়ান উচ্চ জলবন্ধন (ড্যাম) নির্মাণের ফলে এই হ্রদের সৃষ্টি। জলবন্ধনাটর কর্মসূচি পরিকল্পনা ও পরিচালনার পেছনে ছিলেন প্রেসিডেন্ট নাসের।
নাসের হ্রদের আয়তন প্রায় ৫ হাজার ২৫০ বর্গকিলোমিটার। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ প্রশস্ততা ৩৫ কিলোমিটার। হ্রদের ৮৩ শতাংশ রয়েছে মিসরীয় ভূখণ্ডে, বাকিটা সুদানি এলাকায়। সুদানিরা হ্রদের সুদানি অংশকে নুবিয়া হ্রদ বলতে পছন্দ করে।
সাগর সমতল থেকে নাসের হ্রদের উচ্চতা প্রায় ১৮৩ মিটার। হ্রদের গড় গভীরতা ২৫.২ মিটার আর সর্বোচ্চ গভীরতা ১৩০ মিটার। জলধারণ ক্ষমতা প্রায় ১৫৭ কিউবিক কিলোমিটার।
জলবন্ধনের (ড্যাম) পানির উচ্চতার জন্য ১৯৬০-এর দশকব্যাপী প্রধান পরিস্থাপন প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছিল।
নাসের হ্রদের বন্যা থেকে রক্ষা করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নুবিয়ান প্রতœতাত্ত্বিক স্থান বিভিন্ন খ-ে (ব্লক) বিচ্ছিন্ন করে উচ্চস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। এ বিষয়ে সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতœস্থান আবু সিমবেলের কথা বলা যেতে পারে। সুদানি নদীবন্দর ও রেলওয়ে টার্মিনাল ওয়াদি হালফা পানির নিচে চলে যায় এবং এর পরিবর্তে একটি নতুন শহর প্রতিষ্ঠা করা হয়। মিসরের নুবিয়ান সম্প্রদায়ের কয়েক লাখ মানুষের সবগুলো গ্রাম পানির নিচে হারিয়ে যায়। আর নুবিয়ানদের প্রতিষ্ঠিত করা হয় নতুন স্থানে।
১৯৯০-এর দশকে নাসের হ্রদের পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি পানি পশ্চিম দিকে সাহারা মরুভূমিতে ছলকে পড়ে এবং ১৯৯৮-এর প্রথম দিকে এখানে কয়েকটি তোশকা হ্রদ গঠিত হয়।
স্থলপথে মিসর-সুদান সীমান্ত পারাপার বন্ধ। এ দু’দেশকে সংযুক্ত করে কোনো পাকা রাস্তাও নেই। ফলে মিসরের আসোয়ান ও সুদানের ওয়াদি হালফার মাঝে যাত্রী ও সড়কযান নিয়ে নাসের হ্রদে ফেরি চলাচল করে। ওয়াদি হালফা থেকে রেলপথে সুদানের রাজধানী খার্তুমে যেতে পারে মিসরীয়রা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা