২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
আ র ব্য র জ নী থে কে

সিন্দাবাদের দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রা

-

(গত দিনের পর)
সারাটা রাত ডিমটার পাশে আমি উপুড় হয়ে শুয়ে রইলাম। পাখির তায়ে গরমে সিদ্ধ হয়ে যেতে লাগলাম। কিন্তু উপায় নেই। পাখিটা টের পেলে আমাকে এক ঠোকরে গিলে খাবে।
আমার হাতের কবজিতে বাঁধা পাগড়ির অন্য প্রান্ত। চোখে তন্দ্রা নেই। কখন রকপাখিটা আকাশে উড়বে। অধীর প্রতীক্ষায় প্রহর গুণতে থাকি। মনে মনে আশার জাল বুনি। হয়তো, রকপাখিটা আমাকে এই নির্জন দ্বীপ থেকে উদ্ধার করে কোনো এক জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নিয়ে যাবে। তারপর ঘরে ফেরার পথ আমি নিশ্চয়ই খুঁজে নিতে পারব।
এসব আকাশকুসুম ভাবতে ভাবতে এক সময় ভোর হয়ে আসে। ডানা ঝাপটে রকপাখিটাও আকাশে উড়াল দেয়। আমিও সেই মতো প্রাণপণে পাগড়ির অপরপ্রান্ত আঁকড়ে ধরে আছি। পাখিটা শোঁ শোঁ করে খাড়াই উপরে উঠে যায়। একেবারে মহাশূন্যে, প্রায় বেহেশতের কাছাকাছি। এমনটাই মনে হলো আমার কাছে। মনে হলো, আর একটু উপরে উঠতে পারলেই বুঝি বেহেশতের নাগাল পাওয়া যাবে। শীতল বাতাস। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement