বিশ্ব ঐতিহ্য নক্শ-ই জাঁহা স্কয়ার
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বলছি ইতিহাস আর সংস্কৃতির দেশ ইরানের কথা। এ দেশের ‘সাংস্কৃতিক খ্যাতি’ বিশ্বজুড়ে। দেশটির প্রাচীন নগরী ইস্পাহান। এ নগরীর নক্শ-ই জাঁহা স্কয়ার বিশ্বের বৃহত্তম নগর স্কয়ারগুলোর একটি। স্কয়ার বলতে বোঝায় নগর কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ বিশেষ ধরনের উন্মুক্ত স্থান। এখানে থাকা পুরোনো সব নন্দিত স্থাপত্য স্কয়ারটিকে করেছে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
স্কয়ারের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬০ মিটার এবং প্রস্থ ১৬০ মিটার। আয়তন প্রায় ৮৯ হাজার ৬০০ বর্গমিটার। স্কয়ারটি সাফাভীয় আমলের বিভিন্ন দালানে সুশোভিত। ইরানে সাফাভীয় শাসন চলে ১৫০১ থেকে ১৭৩৬ সাল পর্যন্ত।
স্কয়ারের দক্ষিণ পাশে রয়েছে শাহ মসজিদ। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬১১ সালে। এর নাম পাল্টে করা হয়েছে মসজিদ-ই-ইমাম। তবে ইরানিরা সাবেক নামটিও ভোলেনি। স্কয়ারের পশ্চিমে আলি কাপু প্রাসাদের অবস্থান। সাততলার এ প্রাসাদটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে সাফাভীয় গৌরব বয়ে। স্কয়ারের পূর্ব পাশে শেখ লুত্ফ আল্লাহ মসজিদ। এটি সাফাভীয় যুগের ইরানি স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। স্কয়ারের উত্তর দিক দিয়ে ইস্পাহান বড় বাজারে যাওয়া যায়।
বর্তমানে নক্শ-ই জাঁহা স্কয়ারে শাহ মসজিদের সামনে জুমার নামাজ আদায় করা হয়। অগণিত মুসল্লি এতে যোগদান করেন। গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে স্কয়ারটি আপন মর্যাদায় সমাসীন। ফার্সি ভাষায় এর নাম ময়দান-ই নক্শ-ই জাঁহা, যার অর্থ বিশ্ব স্কয়ারের ছবি। বর্তমানে স্কয়ারটির সরকারি নাম ইমাম স্কয়ার । আগে এটি শাহ স্কয়ার নামে পরিচিত ছিল। ইরানের ২০ হাজার রিয়ালের ব্যাংকনোটে এ স্কয়ারের ছবি খচিত। স্কয়ারটি ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের মর্যাদায় ভূষিত হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা