২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

দেবতাখুমের রহস্য

-

উনিশ.
কমল হঠাৎ বলে ফেলে, বাসের পেছনে বসা লোক দুজনের কাজ এটি। তারাই লিখে রেখেছে কাগজটি।
আবিদ বলে, কাদের জন্য লিখে রেখেছে? তাদের উদ্দেশ্যই বা কী?
কমল বলে, উদ্দেশ্য একই। আমরা যে কাজের জন্য বান্দরবানে এসেছি, তারাও সেই কাজের জন্যই এসেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, তাদের এবং আমাদের উদ্দেশ্য একই। নিশ্চয়ই তারা চান না, আমরা সামনে এগিয়ে যাই অথবা তাদের কাজের বাধা হয়ে দাঁড়াই।
হু, আবিদ বলে, তাহলে উদ্দেশ্য আমাদের একই। আর এ কারণেই তারা কাগজটি এখানে রেখে দিয়েছে, যাতে এটি আমাদের নজরে পড়ে। কিন্তু তারা কেনো চান না যে আমরা সামনে এগিয়ে যাই?
কারণ, এই রহস্যের অন্তরালে রয়েছে গুপ্তধন। যা তারা গোপনে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চায়।
কাগজের টুকরোটি নিয়ে আবিদ ও কমল তখনকার মতো ফিরে এলো গেস্ট হাউজে। লীনার জন্য অপেক্ষা করছে তারা।
লীনা বিকেলে যথাসময়ে চলে এলো। তারা তিন বন্ধু আবার রহস্য পর্যালোচনায় বসে। লীনা বলে, স্থানীয়রা বিশ্বাস করে, পাহাড়ের ওপাড়ের একটি প্রাচীন মন্দিরে একসময় এক সাধু ছিল। যিনি তার আধ্যাতি¦ক বলে জায়গাটিকে সুরক্ষিত করে রেখেছিলেন। কিন্তু স্থানীয়রা ওই সাধুকে অশুভ শক্তির আধার মনে করত।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement