বিশ্ব ঐতিহ্য বায়ালোউইয়েজা বন
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বলছি বায়ালোউইয়েজা বনের কথা। এর অবস্থান বেলারুশ ও পোল্যান্ডের সীমান্ত এলাকায়। বনটি বেলারুশে বিলাভেঝস্কায়া পুশকা এবং পোল্যান্ডে পুঝ্ক্জা বায়ালোউয়েস্কা নামে পরিচিত। বায়ালোউইয়েজা বন প্রাচীন ঘন বনের অংশ যা একসময় সারা ইউরোপীয় সমভূমিতে বিস্তৃত ছিল।
মোহিনী প্রাকৃতিক দৃশ্য আর উইসেন্টের জন্য বায়ালোউইয়েজা বিখ্যাত। উইসেন্ট ইউরোপের সবচেয়ে বড় জাতের বাইসন। ১৯৭৯ সালে বনটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের মর্যাদায় ভূষিত হয়। বনের জীববৈচিত্র্য আকর্ষণীয়। এর বেলারুশ অংশের সদর দফতর কামিয়েনিউকিতে রয়েছে গবেষণাগার সুবিধা এবং একটি চিড়িয়াখানা যেখানে রয়েছে বনের নিজস্ব জাতের উইসেন্ট, বন্যশূকর ও হরিণ। অন্যান্য প্রাণীও দেখা যায় প্রাকৃতিক পরিবেশে। এ সদর দফতরে রয়েছে সোভিয়েত যুগে প্রতিষ্ঠিত ছোট জাদুঘর, রেস্তোরাঁ ও স্ন্যাকবার (নাশতার দোকান)। দেশীয় পরিদর্শকরা এখানে তেমন আসে না, কিছু বিদেশী আসে।
বনের পোলিশ অংশে বায়ালোউইয়েজা জাতীয় পার্কে রয়েছে বায়ালোউইয়েস্কা গ্লেইড, একটি দালান কমপ্লেক্স যা নির্মাণ করা হয়েছিল রাশিয়ার জারদের (সম্রাট) জন্য। ১৮৮৮ সাল থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত বনটি ছিল তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এ সময় সম্পূর্ণ বন ছিল রুশ সাম্রাজ্যের অধীন। গ্লেইডে রয়েছে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও পার্কিং এলাকা। ভ্রমণের জন্য এখানে ঘোড়ায় টানা গাড়ির ব্যবস্থা আছে। বছরে প্রায় এক লাখ পর্যটক বনের পোলিশ অংশে ভ্রমণ করে।
বায়ালোউইয়েজা বনের উইসেন্ট রক্ষায় রুশ জারদের সুদৃষ্টি ছিল। ১৮৬০ সালে এ প্রাণী রক্ষার জন্য এখানকার ভালুক, নেকড়ে ও লিনক্স (বাঘবিশেষ) হত্যা করা হয়। জারদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হওয়ার পরে বনটি রাজকীয় সংরক্ষিত শিকার বনাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল।
একসময় পোল্যান্ড ও বেলারুশ ছিল রাশিয়ার অধীন। বর্তমানে এ দু’দেশ স্বাধীন। আর বায়ালোউইয়েজা বন এ দু’দেশের মধ্যে বিভাজিত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা