২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

দেবতাখুমের রহস্য

দেবতাখুমের রহস্য -

নয়.
মৃণাল তাদের দেখে বললেন, ‘আপনারা শহরের মানুষ। পাহাড়ে এসেছেন। রাতে অযথা বাইরে যাবেন না।’
ওই রাতে লীনাকে তারা ফোন করে আগমনের বার্তাটা জানালো না। রাতের বেলা ফোন করে লীনাকে খামাখা বিরক্ত করার ইচ্ছে নেই তাদের। সকাল ১০টায় ঘুম ভাঙল আবিদ ও কমলের।
বান্দরবান জেলার নিজস্ব একটা সৌন্দর্য আছে। এর বিচিত্র ভূপ্রকৃতি, বৃক্ষলতা এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্রময় সংস্কৃতি সবাইকে আকৃষ্ট করে। তারা যখন গেস্ট হাউজের খাবার ঘরে নাস্তা করতে ঢুকে, আবার আলপিনের খোঁচাটি লাগে তাদের গায়। সেই বিদেশী এক্সেন্টে ইংরেজি বলা লোক দু’জনের চোখে চোখ পড়ে যায়। বুক দুরু দুরু করে ওঠে আবিদ ও কমলের। ওই লোক দু’জনও বনবাস গেস্ট হাউজে এসে উঠেছে। কী অবাক করা কাণ্ড!
কেন যে লোক দু’জনকে দেখে তাদের বুকে আলপিনের খোঁচা লাগে, কেন যে ভয়ের কিংবা রহস্যের গন্ধ পেয়ে বুকটা ধুক করে ওঠে এবং কেন যে তাদের গন্তব্যস্থলেই লোক দু’জন আগেভাগে এসে হাজির থাকে- এর কোনো ব্যাখ্যা নেই আবিদ কিংবা কমলের কাছে। যেচে পড়ে পরিচিত হওয়ার আগ্রহও নেই দুই বন্ধুর। রহস্যটা রহস্যই থেকে যাক।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement